আন্তর্জাতিক নারী দিবসে সমস্ত যোগ্য প্রার্থীদের অবিলম্বে নিয়োগের দাবিতে পথে নামলেন ২০১৬-র SLST নবম থেকে দ্বাদশের চাকরিপ্রার্থীরা। কালো পোশাক পরে, কাঁসর-ঘণ্টা-শাঁখ বাজিয়ে, বঙ্গীয় ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা মঞ্চের ব্যানারে শিয়ালদা থেকে মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তি পর্যন্ত মিছিল পর্যন্ত করছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, চাকরিপ্রাপ্তি নিয়ে নানা আশ্বাস, নানা কথাবার্তা চলেছে। কিন্তু তাঁদের দাবি পূরণ হয়নি। দিনের পর দিন ধরে তাঁদের বেকারত্বের যন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে। তাঁদের কথায়, হকের চাকরিটা আমাদের চুরি হয়ে গিয়েছে। এবার কলকাতার রাজপথে নারী দিবসে সেই হকের চাকরি আদায়ের জন্য মহিলা চাকরি প্রার্থীরা দন্ডী কাটলেন। কার্যত শুয়ে পড়ে প্রতিবাদ জানান তাঁরা। এদিন পুরুষ চাকরিপ্রার্থীরা রাজপথে হামাগুড়ি দেন। এর সঙ্গেই কুম্ভকর্ণ সেজেও তাঁরা সরকারের ঘুম ভাঙানোর চেষ্টা করেন।
আরো পড়ুন- দোলের দিনে দিঘায় চেনা ভিড় উধাও! পর্যটক কমায় আশঙ্কায় ব্যবসায়ীরা
বুধবার কালো পোশাক পরে তাঁরা কলকাতার রাজপথে মিছিলে শামিল হয়েছিলেন। দীর্ঘ মিছিল করে তাঁরা শিয়ালদা থেকে ধর্মতলা মেয়ো রোড পর্যন্ত হাঁটেন। তাঁদের প্রশ্ন কবে সরকারের ঘুম ভাঙবে? এদিন একজন চাকরিপ্রার্থী কুম্ভকর্ণ সাজেন। তাঁর সামনে কাসর, ঘণ্টা বাজান অন্যান্য়রা। তার ওপরে লেখা রয়েছে কুম্ভকর্ণ সরকার। এবার তো ঘুম থেকে ওঠো। কার্যত সরকারকে কটাক্ষ করতেই এই ধরনের কুম্ভকর্ণ সেজেছিলেন এক চাকরিপ্রার্থী। অন্যান্যরা বার বার কাসর ঘণ্টা বাজিয়ে প্রতীকী কুম্ভকর্ণকে জাগানোর চেষ্টা করেন।
এরপর রাজপথে চাকরিপ্রার্থীরা দন্ডী কাটতে শুরু করেন। মহিলা চাকরিপ্রার্থীরা বলেন, দিনের পর দিন ধরে আমরা রাজপথে বসে রয়েছি। তবুও সরকারের ঘুম ভাঙছে না। আমরা বাড়তি কিছু চাইছি না। আমরা শুধু চাকরিটা চাইছি। নারী দিবসে আমরা কলকাতার রাজপথে দন্ডী কাটতে বাধ্য হলাম।
এর সঙ্গেই এদিন পুরুষ চাকরিপ্রার্থীরা রাজপথে হামাগুড়ি দেন। এদিন অনেকের চোখেই জল। তাঁদের একটাই কথা, কবে ঘুম ভাঙবে সরকারের? এদিন প্রতীকী শবদেহ করা হয়েছিল। সেখানে লেখা রয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী আপনিও নারী। এই আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এভাবেই প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা লজ্জিত।
এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, ৭২৫দিন ধরে আমরা রাস্তায় রয়েছি। এই রঙের দিনে আমাদের মনে কোনও আনন্দ নেই। আমরা রঙহীন।আমাদের নিয়োগের ব্যাপারে কোনও উদ্যোগ নেয়নি সরকার। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্য় আমরা এভাবে রাস্তায় বসে থাকতে বাধ্য হয়েছি। সেই মন্ত্রিসভার মাথায় ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আপনি সেই দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারেন না। আপনিও সমানভাবে দায়ী। পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের কুকর্মের প্রায়শ্চিত্ত আমাদের দিয়ে করাবেন না। এর দায় আপনাকে নিতে হবে। সরাসরি এভাবেই এদিন মুখ্য়মন্ত্রীর দিকে নিশানা করলেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, সংখ্যালঘুদের মিথ্য়া তোষণ করবেন না, এবার নিয়োগ দিন।