জগদীপ ধনকড় জমানার বিপরীত ছবি। সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose) রাজ্যপাল হয়ে আসার পর থেকে রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজভবনের দূরত্ব ঘুচেছে।
বুধবার বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে যে ভাষণ পাঠ করেছেন তাতে বহুল ব্যবহৃত ‘আমার সরকার’ শব্দ যুগলের সঙ্গেই অন্তত দু’ জায়গায় ‘আমার মুখ্যমন্ত্রী’ (‘My Chief minister’) বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ভূমিকার প্রশংসা করেছেন রাজ্যপাল।
আরো পড়ুন- রেগে গিয়ে মালিকের ঘাড় মটকে মাথা চিবিয়ে খেল পোষ্য উঁট
ভাষণের ৩১ নম্বর অনুচ্ছেদে রাজ্যপাল বলেছেন, ‘মাননীয় সদস্যগণ, আমার মুখ্যমন্ত্রীর একনিষ্ঠ প্রচেষ্টার ফলে কলকাতার দুর্গাপূজা ইউনেস্কোর ২০২১ সালের মানবসমাজের আবহমান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য-র তালিকাভুক্ত হয়েছে।’
স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের উল্লেখ করতে গিয়েও রাজ্যপাল ‘আমার মুখ্যমন্ত্রী’ শব্দ দুটি ব্যবহার করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমার মুখ্যমন্ত্রীর নিরন্তর নজরদারির কারণে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে একাধিক তাত্পর্যপূর্ণ সাফল্য অর্জন করা গেছে।’
কৃষির প্রসঙ্গে রাজ্যপাল বলেছেন, ‘আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর দূরদর্শী চিন্তাধারার ফলস্বরূপ রাজ্য বিগত এগারো বছরে কৃষিক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লাভ করেছে।
রাজ্যপালের ভাষণে ‘আমার মুখ্যমন্ত্রী’ শব্দের উল্লেখ নিয়ে নবান্নের এক কর্তার ব্যাখ্যা, প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীরা শুধু সরকার প্রধান নন, তাঁরাই প্রকৃত সরকার। ফলে সরকারের ব্যর্থতার দায় যেমন প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীকে নিতে হয়, ভাল কাজের কৃতিত্বও তাঁদেরই প্রাপ্য।
অন্যদিকে, বিজেপির এক প্রবীণ নেতার বক্তব্য, রাজ্যপালের ভাষণ রাজ্য সরকার লিখে দেয়। ‘আমার মুখ্যমন্ত্রী’ শব্দ দুটির উল্লেখ রাজ্য সরকারের রাজনৈতিক নেতৃত্বের রুচির পরিচয় বহন করছে। এ জন্য রাজ্যপালকে দোষারোপ করা যায় না। তাছাড়া, রাজ্যপাল তো সবে বাংলা শেখা শুরু করেছেন। আর এই রাজ্য সরকার যে মুখ্যমন্ত্রীময়, কে না জানে। সিপিএমের এক নেতার কটাক্ষ, ভাগ্যিস রাজ্যপালকে ভাষণে ‘মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণা’ কথাটি পাঠ করতে হয়নি।