রমজানের খাবার সংগ্রহ করতে গিয়ে পাকিস্তানে পদপিষ্ঠ হয়ে মৃত্যু হল ১১ জনের। এঁদের মধ্যে রয়েছেন ৮ জন মহিলা এবং ৩ জন শিশু। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে করাচিতে। ঘটনায় বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন।
পুলিস জানিয়েছে, এদিন একটি কারখানার বাইরে খাবার বণ্টন করা হচ্ছিল। সেখানে হাজির হয়েছিলেন বহু মানুষ। হঠাৎই খাবার নেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। করাচি পুলিসের এক আধিকারিক মুগিস হাসমি বলেন, অনেকেই সে সময় পিছলে পাশের নর্দমায় পড়ে যান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হুড়োহুড়ির জেরে নর্দমার কাছে একটি প্রাচীরও ভেঙে পড়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ১১ জনের।
হাসমি বলেন, কারখানার মালিক খাবার বণ্টন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। তবে তা তিনি আগে থেকে পুলিসকে জানাননি। পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশেই বাড়ি বিদেশমন্ত্রী বিলাবল ভুট্ট জারদারির। সিন্ধ প্রদেশের রাজধানী করাচি। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এদিকে, রাষ্ট্রদ্রোহ আইন ব্যবহার করে পাকিস্তানের মানুষের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিচ্ছে প্রশাসন। কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে বিরোধীদের। এই নিয়ে আদালতে জমা পড়েছিলে একাধিক পিটিশন। বৃহস্পতিবার অবশেষে ব্রিটিশ আমলের এই আইনটিকে বাতিল করল লাহোর হাইকোর্ট। এদিন রাষ্ট্রদ্রোহ আইনকে ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দেন বিচারপতি শহিদ করিম।
এবিষয়ে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ, দেশের সংবিধানের ১৯ নম্বর অনুচ্ছেদে বাকস্বাধীনতার স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। তাই এই আইন সংবিধানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। বিরোধীদের মুখ বন্ধ রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট আইনের যথেচ্ছ ব্যবহার করছে ক্ষমতাসীন সরকার।