শুধু খাওয়ার নয়, বায়ু দূষণের কারনেও হতে পারে হার্টের অসুখ! - Ei Bangla
Ei Bangla লাইফস্টাইল শুধু খাওয়ার নয়, বায়ু দূষণের কারনেও হতে পারে হার্টের অসুখ!

শুধু খাওয়ার নয়, বায়ু দূষণের কারনেও হতে পারে হার্টের অসুখ!


আগেকার যুগে যেমন সব জিনিসপত্র নির্ভেজাল ছিল তেমনি বর্তমান যুগে কোনো কিছুই নির্ভেজাল পাওয়া প্রায় অসম্ভব বলা চলে।

হার্টের অসুখ সাধারণত হাই লিপিড, হাই ব্লাড প্রেসার, অতিরিক্ত মদ্যপান এবং ধূমপানের কারণে হয়ে থাকে। কিন্তু সম্প্রতি দেখা গেছে যে হার্টের অসুখের পেছনে বায়ু দূষণ একটি কারণ হতে পারে। করোনারি রিস্ক ফ্যাক্টরের মধ্যে বায়ু দূষণকেও তালিকায় যোগ করা হয়েছে।

প্রথমত, জানতে হবে যে বায়ু দূষণ যে হচ্ছে সেটা বুঝবো কি করে?

তাহলে সর্বপ্রথম বলতে হয় বায়ু দূষণ নির্দেশক বলে একটি যন্ত্র আছে যার সাহায্যে আমরা বায়ু যে দূষিত হয়েছে সেটা জানতে পারি। এই যন্ত্রটি একটি কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলের বায়ু দূষণ সম্পর্কে অবগত করতে পারে।

যেমন একটি নির্দিষ্ট ঘনত্বের বায়ুর মধ্যে কত মাইক্রো মিলিগ্রামের বায়ু দূষক পদার্থ রয়েছে তা নির্ধারিত করতে সক্ষম এ যন্ত্র।

এই বায়ু দূষক পদার্থ গুলি নির্ভর করে কিছু গ্যাস এবং কিছু নির্দিষ্ট কণার উপর। আমরা যে বাতাস নিঃশ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করি, তার মধ্যে বেশিরভাগ অংশ জুড়ে থাকে অক্সিজেন এবং নাইট্রোজেন। এছাড়াও আনুষঙ্গিক কিছু এমন উপাদান থাকে যা সেই বাতাসটিকে অস্বাস্থ্যকর করে তোলে।

ডা. সব্যসাচী পাল, (সিনিয়র কনসালটেন্ট – কার্ডিওলজি বিভাগ – বিড়লা হার্ট রিসার্চ সেন্টার – সি কে বিড়লা হাসপাতাল) জানিয়েছেন যে, “বায়ু নির্দেশক যন্ত্রের কাজ হল ওই নির্দিষ্ট জায়গার বাতাস কতটা স্বাস্থ্যকর বা অস্বাস্থ্যকর সেটা নির্ধারণ করা। এই যন্ত্রটি বিশেষত কয়েকটি দূষণকারী পদার্থের উপর নজর রাখে যে তাদের ঘনত্ব কি পরিমাণে বাতাসে উপস্থিত রয়েছে, সেই হিসেবে বিচার করা হয় যে ওই স্থানের বাতাস যা গ্রহণ করা হচ্ছে তা আদৌ স্বাস্থ্যকর নাকি অস্বাস্থ্যকর।

সাধারণত দেখা যায়, এমন কিছু গ্যাস আছে যেমন- ওজোন গ্যাস, সালফার- ডাই- অক্সাইড, কার্বন-মনোক্সাইড, এছাড়াও কিছু ভারী ধাতু আছে যেমন- লেড, বা ধাতুর যে কণা যেমন এক্ষেত্রে বলা যেতে পারে কোথাও কোনো বিল্ডিং তৈরি হচ্ছে বা ঘরবাড়ি তৈরি হচ্ছে তো সেখানে এই ধাতুর কণা থাকতেই পারে। সুতরাং এই সমস্ত যে কণা বা গ্যাস এগুলো বায়ু দূষণের মূল কারণ। এই ধাতব কণাগুলিকে প্রায় ধুলোর সাথে তুলনা করা যেতেই পারে, যেগুলি নিঃশ্বাসের মাধ্যমে আমাদের দেহে প্রবেশ করছে এবং যদি সেই কণাগুলো ১০ মাইক্রোনের নিচে হয়, তাহলে সেগুলি অনায়াসে আমাদের নাকের মধ্যে থেকে প্রবেশ করে আমাদের ফুসফুসের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। ২.৫ মাইক্রোনের নিচে যে কণাগুলো আছে সেগুলি শুধুমাত্র যে আমাদের ফুসফুসে প্রবেশ করছে তা নয়, বরং আমাদের যে লাংস এবং রক্তনালীর মধ্যে যে বাধা সৃষ্টিকারী বস্তু আছে তা ভেদ করেও ভেতরে প্রবেশ করে যেতে পারে।”

এই যে ক্ষতিগ্রস্ত কণাগুলি আমাদের নিঃশ্বাসের মাধ্যমে ভেতরে প্রবেশ করছে তার একটা বড় প্রভাব পড়ে আমাদের লাংসের উপর। ২.৫ মাইক্রোনের নিচে অবস্থিত যে কণাগুলি নিঃশ্বাসের মাধ্যমে আমাদের শরীরের ভেতরে প্রবেশ করছে সেগুলি ব্লাড ভেসেলের মধ্যে প্রবেশ করে যেতে পারে এবং তখনই সমস্যা গুলির সৃষ্টি হয়।

২.৫ মাইক্রোনের কণাগুলি কার্ডিওলজিতে অনেক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। অবিস্ময়কর ভাবে দেখা যাচ্ছে যে, বায়ু দূষণের কারণে যে মৃত্যু ঘটেছে তার মধ্যে ৫০ শতাংশ মৃত্যু হার্টের সমস্যার জন্য ঘটেছে। এমন অনেক রোগী আছেন যাদের আগের থেকেই হয়তো ব্রংকাইটিস অথবা হাঁপানির মতন রোগ আছে। কিন্তু এই বায়ু দূষণের প্রভাবে তাদের যে মৃত্যু ঘটছে তা তাদের হার্টের সমস্যার কারণেই দেখা যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Post

দুবার ব্রাশ করার পরেও মুখের দুর্গন্ধ যাচ্ছে না? পেট ভালো আছে তো?দুবার ব্রাশ করার পরেও মুখের দুর্গন্ধ যাচ্ছে না? পেট ভালো আছে তো?

সকাল সকাল ঘুম থেকেই উঠে দিব্যি ব্রাশ করেছেন, মুখ ভালো করে ধুয়েছেন। কিন্তু মুখ থেকে দুর্গন্ধ কিছুতেই কমে না। সে এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতি। কলেজ হোক বা অফিস, কারও মুখ থেকে

দুটো বোতল, একটি ফ্যান দিয়ে মাত্র ২০ টাকায় বানান ACদুটো বোতল, একটি ফ্যান দিয়ে মাত্র ২০ টাকায় বানান AC

বেশ কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড দাবদাহ। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বইছে লু। রাজ্যের অধিকাংশ জেলায় তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছে ৪০ ডিগ্রিতে, কোথাও আবার ৪০ ডিগ্রির বেশি। এই অবস্থায় দুপুরে যে একটু শান্তিতে

গরমে যৌনতায় অনিহা ! শরীরে চরম উত্তেজনা পেতে হলে জানুন নতুন পদ্ধতিগরমে যৌনতায় অনিহা ! শরীরে চরম উত্তেজনা পেতে হলে জানুন নতুন পদ্ধতি

চরম গরমে একেবারে নাজেহাল অবস্থা। এই সময় প্রিয় মানুষ যদি একটু কাছে আসতে চান, তাহলে মন জুড়ে চরম বিরক্তি! গরমে যৌনতার ইচ্ছে প্রকাশ করেন না বেশিরভাগ মানুষ ৷ কিন্তু ডাক্তারদের

শরীরচর্চা বা ডায়েট ছাড়া ভুঁড়ি কমবে? কী ভাবেশরীরচর্চা বা ডায়েট ছাড়া ভুঁড়ি কমবে? কী ভাবে

জিমে যাওয়ার নাম শুনলেই অনীহা আসে! অথচ বাড়তি ভুঁড়ি চিন্তা বাড়াচ্ছে? অন্য কোনও উপায় না পেয়ে অনেকেই সকাল বা বিকেলে হাঁটতে বেরোচ্ছেন। কেবল হেঁটেই কি ওজন কমানো সম্ভব? তবে হাঁটাই