এই বাংলা ডেস্কঃ কাঁচরাপাড়ায় ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার মাল ও নগদ টাকা চুরি করে গ্রেফতার তার কর্মচারী সুমন রায় (Suman Roy)। জানা গিয়েছে ধৃত সুমন রায় (Suman Roy) বিজেপির যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক (বিজপুর মন্ডল) শুভায়ু রায়ের ভাই। ব্যবসায়ীর বাড়িতে চুরি করার পর থেকেই নিখোঁজ ছিল সুমন রায় (Suman Roy)। তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

শুভায়ু রায় (সুমন রায়ের ভাই)
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত সুমন রায়ের বাড়ি কাঁচরাপাড়া আগুড়িপাড়া অঞ্চলে। পিতার নাম অভিজিৎ রায়। ভাই শুভায়ু রায় বিজপুর যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক। গত ৫ জুলাই কাঁচরাপাড়া কালিনগর রোডে ব্যবসায়ী পার্থ মজুমদার বাড়িতে গোডাউন থেকে মাল ও টাকা চুরি হয়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় গোডাউন থেকে প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা মাল চুরি করছে তার কর্মচারী সুমন রায়। এই ঘটনার পর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তারপর থেকে পলাতক ছিল সুমন রায়। এতদিন তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তাকে গ্রেফতার করে বিজপুর থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাঁচরাপাড়া স্টেশন অঞ্চল থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই সুমন রায় বহু বছর ধরে কাঁচরাপাড়া কালিনগর রোডের ব্যবসায়ী পার্থ মজুমদারের গোডাউন থেকে পোস্ত ও বিভিন্ন দামী মশলা চুরি করে বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করত। সিসিটিভি ফুটেছে দেখা গিয়েছে প্রতিমাসে অন্তত ৫ থেকে ৬ দিন চুরি করত। এই মাল তিনি কোথায় কোথায় বিক্রি করতেন এবং চুরি টাকা কোন কোন একাউন্টে লেনদেন হয়েছে সমস্ত কিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখচ্ছে পুলিশ।
ব্যবসায়ী পার্থ মজুমদার জানান, এই সুমন রায় তার কাছে দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে কাজ করত। তিন বছর ধরে তার মা ব্লাড ক্যান্সের আক্রান্ত হওয়ায় তিনি তার মার চিকিৎসার জন্য বেশিরভাগ সময় কলকাতা টাটা ক্যান্সার হাসপাতালে থাকতেন। সেই সুযোগে তার কর্মচারী সুমন রায় বাড়ি থেকে টাকা-পয়সা ও মাল চুরি করতো। সিসিটিভি ফুটেছে দেখা গিয়েছে প্রতিমাসে ৬ থেকে ৭ বার প্রায় লক্ষাধিক টাকার উপরে মাল ও টাকা চুরি করেছে। চার বছরের প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার উপরে মাল ও টাকা চুরি করতো। পার্থ বাবু আরো জানান, পরে চুরির কিছু মাল তার প্রেমিকা কাঁচরাপাড়া ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পায়েল সাহার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। আর তারপর থেকে পলাতক ছিল সুমন।
এ দিকে ধৃত সুমন রায় কে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আর জেরা করতে চাইছে পুলিশ। সেই কারণে শুক্রবার তাকে পেশ করা হয় ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে। তারপরেই তাকে দু’দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে নেওয়া হয়।