অপারেশন ঘোস্ট স্টোরিস। আমেরিকার ইতিহাসে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় স্পাই নেটওয়ার্ক খুঁজে বের করে এফবিআই - Ei Bangla
Ei Bangla ব্লগ অপারেশন ঘোস্ট স্টোরিস। আমেরিকার ইতিহাসে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় স্পাই নেটওয়ার্ক খুঁজে বের করে এফবিআই

অপারেশন ঘোস্ট স্টোরিস। আমেরিকার ইতিহাসে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় স্পাই নেটওয়ার্ক খুঁজে বের করে এফবিআই


দিনটা ২৬ জুন, ২০১০, অন্যান্য দিনের মতোই কর্মব্যাস্ত নিউইয়র্ক শহরের এক রেস্তোরাঁয় কালো চশমা পড়ে লাল চুলের এক মেয়ে প্রবেশ করে। সেখানে অনেকক্ষন ধরেই তার জন্য অপেক্ষা করছিল কালো জামা পড়া এক ব্যাক্তি। তবে মেয়েটি রেস্তোরাঁয় প্রবেশ করার অনেক আগে থেকেই চারপাশ খুব ভালো ভাবে লক্ষ্য করছিল। মেয়টির নাম অ্যানা চ্যাপমান যে একজন রাশিয়ান গুপ্তচর। কালো জামা পড়া ওই ব্যাক্তিটির নাম রোমান যে একজন রাশিয়ান কর্মকর্তা। অ্যানা তার ব্যাগ থেকে একটি ল্যাপটপ বের করে রোমানের হাতে দেয়। আসলে রোমান নামে যে ব্যাক্তিটিকে অ্যানা রাশিয়ান কর্মকর্তা ভাবছিল বাস্তবে সে আমেরিকার ইনটেলিজেন্স সংস্থা এফবিআই এর এজেন্ট। তাদের এই পুরো ঘটনা একটি গোপন ক্যামেরায় রেকর্ড হচ্ছিল।

এফবিআই এই পুরো মিশনের পরিকল্পনা বহুদিন ধরেই করছিল। এফবিআই এর এই মিশনের নাম অপারেশন ঘোস্ট স্টোরিস। বহুদিন ধরেই আমেরিকার বিভিন্ন শহরে বেশ কয়েকজন রাশিয়ান এজেন্ট গোপনে কাজ করছিল। তারা আমেরিকান পরিচয় নিয়ে সাধারন আমেরিকানদের ছদ্মবেশে আমেরিকায় বসবাস করে পরিবারও তৈরি করেছিল। তাদের পরিবার তাদের এই গোপন জীবন সম্পর্কে জানত না। কিন্তু এফবিআই বহুদিন ধরেই তাদের ধরবার পরিকল্পনা করছিল। এক অসাধারন অপারেশনের মাধ্যমে এফবিআই একই দিনে সব রাশিয়ান এজেন্টদের গ্রেফতারের পরিকল্পনা তৈরি করে ফেলে।

অ্যানা চ্যাপমান নামের এই রাশিয়ান মহিলা দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকা ও ব্রিটেনে রাশিয়ান এজেন্ট হিসাবে কাজ করছিল। লন্ডনে রাশিয়ার একটি মিশনে কাজ করার সময় অ্যানার সাথে পরিচত হয় আলেকজান্ডার চ্যাপমান নামে এক ধনী যুবকের, এবং উভয়ে খুব তাড়াতাড়ি বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হয়। কিন্তু চার বছর পর উভয়ের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। অ্যানা তখন লন্ডন থেকে ম্যানহ্যাটেন চলে আসে ২০০৯ সালে। পরে সেখান থেকে পরে নিউইয়র্ক আসে, কিন্তু তখনও সে তার প্রাক্তন সাথীর চাপম্যান টাইটেল ব্যবহার করছিল। নিউইয়র্কে এসে অ্যানা রাশিয়ান ইনটেলিজেন্স সংস্থা কেজিবির কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ শুরু করে নিউইয়র্কে তার কাজ শুরু করে। লাল চুলের সুন্দরী অ্যানা খুব দ্রুত রাজনৈতিক মহলে তার বন্ধু তৈরি করতে শুরু করে এবং সে সফলও হয় তার কাজে। সেখান থেকে তথ্য সংগ্রহ করে বিভিন্ন কফিশপে, মলে, রেস্তোরাঁয় গোপন ভাবে কেজিবি এজেন্টদের সাথে দেখা করত অ্যানা। কিন্তু অ্যানা জানতো না এফবিআই তাকে নজর রাখা শুরু করেছে, আসলে বহু দিন থেকেই এই অপারেশন ঘোস্টস্টোরিস শুরু করেছিল এফবিআই। ২০০০ সালের শুরু থেকেই এফবিআই এই অপারেশন শুরু করে। প্রায় দশ বছর ধরে চলা এই অপারেশনে রাশিয়ান এজেন্টদের উপর এফবিআই বহু ধরে নজর রেখেছিল। কয়েক হাজার ঘন্টা ধরে তাদের সমস্ত বক্তব্য বিশ্লেষন করতে হয় এফবিআই এজেন্টদের।

অ্যানা সহ আমেরিকায় থাকা রাশিয়ান এজেন্টরা প্রাইভেট ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে যোগাযোগ করত যার লিংক ও গোপনীয় ছিল। এইসব এজেন্টরা রেডিওগ্রাম ও স্টেগানোগ্রাফি ব্যাবহার করত যোগাযোগের জন্য। স্টেগানোগ্রাফি এমন একটি পদ্ধতি যেখানে একটি কম্পিউটারে রঙিন ছবির মধ্যে একটি বিশেষ সফটওয়্যারে কিছু ডিজিট্যাল সাংকেতিক মেসেজ ইনস্টল করা থাকত। সবাই দেখে সেটা সাধারন ছবি ভাবত, কিন্তু এই ছবির মধ্যে থাকা সফটওয়্যার ওপেন করতে হলে একটি বিশেষ কোডের দরকার হতো। প্রথমে কম্পিউটারে কন্ট্রোল, অল্ট ই টিপে তারপর ২৭ সংখ্যার একটি পাসওয়ার্ড দিতে হত তবে সেই মেসেজ দেখা যেত। এফবিআই এই প্রাইভেট নেটওয়ার্ক খুঁজে বের করে এবং অ্যানার কম্পিউটার হ্যাক করে তাতে নিজেদের সফটওয়্যার ইনস্টল করে দেয়। এভাবে অ্যানা সহ আমেরিকায় গোটা কেজিবি নেটওয়ার্ককে ট্র্যাক করে ফেলে এফবিআই। অ্যানা যেখানে যেত, যাদের সাথে গোপনে দেখা করতো সব তথ্যই এফবিআই পেতে থাকে। এফবিআই বহুদিন ধরেই সন্দেহ করছিল বেশ কিছু সংখ্যায় রাশিয়ান আমেরিকায় ছদ্মবেশে বসবাস করছে। এইসব এজেন্টদের দেখে কেউ সন্দেহও করবে না, এরা এমনই পরিচয় তৈরি করেছিল। এদের মধ্যে কেউ নিজের নাম বদলে ফেলেছিল, কেউ মরে যাওয়া ব্যাক্তির নাম ব্যবহার করেছিল। সাধারন স্বামী স্ত্রীর মতোই প্রতিবেশীদের সাথে শান্তিপূর্ন বসবাস করতো এরা, সন্তান ছিল, কাজ করত, কেউ কেউ কলেজেও পড়তো অর্থাৎ পুরো একদম সাধারন জীবন যাপন, সন্দেহর কোন জায়গায় ছিলনা।

রাশিয়া এভাবে আমেরিকায় পুরো তাদের কেজিবির একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করে ফেলেছিল। এফবিআই এই অপারেশনের নাম ঘোস্ট স্টোরিস দেয় কারন এফবিআই প্রাথমিক ভাবে দশজনকে রাশিয়ান এজেন্ট হিসাবে সন্দেহ করেছিল তাদের মধ্যে ছয়জনই মরে যাওয়া আমরিকান নাগরিকদের পরিচয় ব্যাবহার করতো। আমেরিকায় কেজিবির এই নেটওয়ার্ক পুরো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ব্রিটেনে সোভিয়েত ইউনিয়নের কেমব্রিজ ফাইভ নেটওয়ার্কের মতো ছিল যা ১৯৫০ সাল পর্যন্ত ছিল। যদিও ব্রিটেনের ইনটেলিজেন্স সংস্থা এমআই ৬ এবং এমআই ৫ সফল ভাবে এই নেটওয়ার্ক ধ্বংস করে দিয়েছিল। কেমব্রিজ ৫ এর সবচেয়ে ধুরন্ধর এজেন্ট ছিল কিম ফিলবি যে এমআই ৬ এর সোভিয়েত ইউনিয়ন বিভাগের প্রধান হিসাবেও নিযুক্ত হয়েছিল। এফবিআই প্রায় একবছর ধরে অ্যানার উপর নজর রাখে। অ্যানা অন্তত ছয়টি জায়গা থেকে সাংকেতিক ভাবে মেসেজ পাঠাতো ও পেতো। সব কটি মেসেজই এফবিআই বুঝতে পারতো। এফবিআই রোমানকে রাশিয়ান কর্মকর্তা সাজিয়ে অ্যানার সাথে দেখা করতে পাঠায়। রোমানের সাথে দেখা করতে রাজিও হয়ে যায় অ্যানা। রোমান অ্যানাকে একটি নকল আমেরিকান পাসপোর্ট দিয়ে তা একজন এজেন্টকে দিয়ে আসতে বলে। কিন্তু অ্যানার রোমানের উপর সন্দেহ দেখা দেয় সেজন্য রেস্তোরাঁ থেকে বেড়িয়েই সে প্রথমেই তার ফোন নষ্ট করে ফেলে। একটি নতুন ফোন ও সিম কার্ড কেনে। কিন্তু এফবিআই অ্যনার গতিবিধির উপর নজর রাখছিল। পরের দিন অর্থাৎ ২৭ জুন অ্যানাকে গ্রেফতার করে এফবিআই। তবে ২৭ জুন শুধু অ্যানা একা গ্রেফতার হয়নি তার সাথে বোস্টন, উত্তর ভার্জিনিয়া, মন্টক্লেয়ার এবং ইয়াঙ্কাীসে অভিয়ান চালিয়ে আরও নয়জন রাশিয়ান এজেন্টকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ৮ জুলাই দশজন এজেন্টকে রাশিয়া ফেরত পাঠানো হয়, বদলে রাশিয়াও গুপ্তচর সন্দেহে গ্রেফতার হওয়া চারজন ইউরোপীয়ান ব্যাক্তিকে ছেড়ে দেয়। তবে আরও তিনজন রাশিয়ান এজেন্ট গ্রেফতারের আগেই আমেরিকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। এই সমস্ত এজেন্ট রাশিয়ার এসভিআর ইনটেলিজেন্স অ্যাকডেমি থেকে প্রশিক্ষিত ছিল। এফবিআই এর ইতিহাসে এরকম অপারেশন প্রথমবারের মতোন হয় যেখানে একই দিনে দশজন রাশিয়ান এজেন্টকে গ্রেফতার করা হয়। এই দশ এজেন্টকে রাশিয়া আমেরিকায় পাঠিয়েছিল যাতে তারা সাধারন আমেরিকান হিসাবে বসবাস করে আমেরিকার রাজনৈতিক জগতে প্রভাব খাটিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। গ্রেফতার হওয়া দশজন রাশিয়ান এজেন্টদের মধ্যে আটজন স্বামী স্ত্রী এবং দুজন একা ছিল।

** ভিকি পেলায়েজ এবং জুয়ান লাজারো:–

ভিকি পেলায়েজের আসল নাম ছিল মিখাইল অ্যান্টোলিভিচ ভাসেনকভ। পেরুতে জন্মানো এই ব্যাক্তি আমেরিকায় ল্যাটিন ও আমেরিকান ও ক্যারিবিয়ান রাজনীতির অধ্যাপক হিসাবে কাজ করতো। তার স্ত্রী জুয়ান লাজারো নামটাও ছদ্মনাম ছিল। আসল জুয়ান লাজারো একজন আমেরিকান বাচ্চা ছিল যে ১৯৪৭ সালে উরুগুয়েতেই মারা গিয়েছিল। জুয়ান লাজারো এল ডিয়ারিও নামে একটি আমেরিকান স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমে কাজ করতো।

** ডোনাল্ড হেতফিল্ড এবং ট্রাসি লি অ্যান ফলি:– এদের আসল নাম ছিল অ্যান্দ্রে বেজ্রোকোভ এবং ইয়েলিনা ভ্যাভিলোভা। এরা ম্যাসাচুসেটসে থাকত। ডোনাল্ড হেতফিল্ড নামটা একজন কানাডিয়ান মৃত ব্যাক্তির। ট্রাসি রিয়েল এস্টেট এজেন্ট এবং ডোনাল্ড ভবিষ্যত প্রযুক্তির উপরে কাজ করত, সাথে সেলসম্যান হিসাবেও কাজ করতো।

** রিচার্ড এবং সিন্থিয়া মার্ফি:— এদের আসল নাম ভ্লাদিমির গুরিয়েভ এবং লিদিয়া গুরিয়েভা। এরা নিউ জার্সির মন্টকেয়ারে থাকতো। সিন্থিয়া বিভিন্ন অর্থনৈতিক প্রজেক্টে কাজ করতো নিউইয়র্কে।

** মিখাইল জটোলি এবং প্যাটরিসিয়া মিলস:– এদের আসল নাম ছিল মিখাইল কুটসিক এবং নাটালিয়া পেরেভারজেভা। প্রথমে এরা ওয়াশিংটনে থাকতো পরে ভার্জিনিয়ায় চলে আসে। এরা ২০০১ ও ২০০৩ সালে আমেরিকায় আসে। জটোলি নিজেকে ইটালিয়ান ব্যাঙ্কার হিসাবে পরিচয় দিয়েছিল এবং মিলসের পরিচয় ছিল একজন কানাডিয়ান ছাত্র।

** অ্যানা চ্যাপম্যান :– আসল নাম অ্যানা কুশচেঙ্কো। লন্ডন থেকে নিউইয়র্কে এসে রিয়েল এস্টেট এজেন্ট হিসাবে কাজ করতো।

** মিখাইল সেমেঙ্কো :– এই ব্যক্তি তার নিজের নামেই আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। রাশিয়ান, ইংরেজি, স্প্যানিশ ও চাইনিজ ভাষায় পারদর্শী মিখাইল ট্রাভেল অল রাশিয়া নামে একটি ভ্রমন সংস্থায় কাজ করতো। তার মালিক সালাভা শিরোকোভ একজন বিশ্বরাজনীতির বিশ্লেষক ছিল যার থেকে অনেক গোপন তথ্য পেত মিখাইল।

পরে সাইপ্রাসে ক্রিস্টোফার মেসটস নামে আর একজন ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করে এফবিআই যে আমেরিকা থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। মেসটস আমেরিকায় রাশিয়ান এজেন্টদের পয়সা দেবার দায়িত্বে ছিল। মেসটস নিজেকে কানাডিয়ান দাবি করলেও তার আসল পরিচয় এফবিআই খুঁজে বের করে। তার আসল নাম পাভেল কাপুস্টিন যে একজন ধুরন্ধর রাশিয়ান এজেন্ট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Post

টেরাকোটা সাহেবে’র কথাটেরাকোটা সাহেবে’র কথা

ইংরেজ সাহেব। কেমব্রিজে পড়াশোনা শেষ করে ইংল্যান্ড থেকে এসেছিলেন ভারতবর্ষে। গিয়েছিলেন বীরভূমের রবীন্দ্র তীর্থে। কিন্তু শান্তিনিকেতনে মন টিকল না। তুসা বিভাগে অধ্যাপনার কাজ নিয়ে তিনি চলে এসেছিলেন যাদবপুরে। থাকতেন কলকাতার

‘রামকৃষ্ণ ও বঙ্কিম – একটি বিতর্কিত অধ্যায়’ (প্রথম পর্ব)‘রামকৃষ্ণ ও বঙ্কিম – একটি বিতর্কিত অধ্যায়’ (প্রথম পর্ব)

রানা চক্রবর্তীঃ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সম্বন্ধে একটা কাহিনী বহুকাল ধরেই নির্বাধায় প্রচলিত থাকতে থাকতে বর্তমানে সেটা প্রায় একটা প্রবাদে পরিণত হয়ে গিয়েছে। সেই কাহিনীটি সংক্ষেপে হল – রামকৃষ্ণ পরমহংসের সঙ্গে বঙ্কিমচন্দ্রের

সরস্বতী পুজোর দিন বই ছোঁয়া মানা, তাহলে পুজোর দিন কেন হয় হাতেখড়ি? শাস্ত্র মতে এর ব্যাখ্যা কিসরস্বতী পুজোর দিন বই ছোঁয়া মানা, তাহলে পুজোর দিন কেন হয় হাতেখড়ি? শাস্ত্র মতে এর ব্যাখ্যা কি

তাঁকে তপস্যায় তুষ্ট করে বেদজ্ঞ হয়েছিলেন দস্যু রত্নাকর। তাঁর বাৎসল্যেই মহাকবি হয়েছিলেন মূর্খ কালিদাস। এহেন দয়া যাঁর শরীরে তিনি আর যাই করুন কারও ক্ষতি যে করবেন না একথা বলার অপেক্ষা

আজ যে নবাব, কাল সে ফকিরআজ যে নবাব, কাল সে ফকির

আচ্ছা পাকিস্তানের প্রথম রাষ্ট্রপতির নাম জানেন ? প্রায় সবাই বলবেন, কেন মহম্মদ আলি জিন্নাহ…. ! আজ্ঞে না স্যার, উনি ছিলেন গভর্ণর জেনারেল। গোড়াতে ওদেশে রাষ্ট্রপতি পদটাই ছিল না। ১৯৫৬ সালে