পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে তৃণমূলের ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচির প্রথম দিনে বিশৃঙ্খলা। প্রার্থী বাছাই অভিযানকে কেন্দ্র করে মারামারি, হুড়োহুড়ি এবং ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার সাহেবগঞ্জের সভা শেষে সিতাই গোঁসানিমারি হাই স্কুলের মাঠে সভা করতে যান অভিষেক। তবে নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক ঘণ্টা পরে তিনি মঞ্চে উপস্থিত হন। তাঁর মিনিট কুড়ির ভাষণের শেষাংশে অভিষেক জানান, মঞ্চে ব্যালট বাক্স রেখে যাচ্ছেন। উপস্থিত তৃণমূল নেতা, কর্মী এবং সমর্থকেরা যেন নিজেদের প্রার্থী বাছাই শুরু করেন এবং মতামত জানান। কিন্তু তিনি সভাস্থল ছেড়ে পরের সভাস্থল শীতলখুচির উদ্দেশে রওনা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোট দেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু হয়। একসঙ্গে সবাই ভোট দিতে উঠে যান মঞ্চে। এক পক্ষ ব্যালট বাক্স নিয়ে টানাহেঁচড়া শুরু করে। অন্য পক্ষ ভোট না দিতে পারার আশঙ্কায় ব্যালট কাগজ ছিঁড়তে শুরু করে। শুরু হয় মারামারি এবং ধাক্কাধাক্কি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে ঠেলেঠুলে তৃণমূল কর্মী এবং সমর্থকদের মঞ্চ থেকে নীচে নামায় পুলিশ। কিন্তু পুলিশের সামনে হাতাহাতি শুরু হয় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর।
অভিযোগ, সাহেবগঞ্জে ব্যালট বাক্স লুঠ করা হয়। একদল দুষ্কৃতী সভা শেষে হুড়োহুড়ি শুরু করে দেয়। ব্যালট পেপার লুঠ ছিঁড়ে দেওয়া হয়। ভেঙে ফেলা হয় ব্যালট বাক্স। ধাক্কাধাক্কিতে জখম হন কয়েকজন। একই ঘটনা ঘটে সিতাইতেও। কে বা কারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ঘটনার খবর পেয়ে ইতিমধ্যে রিপোর্ট তলব করেছেন খোদ অভিষেক। জানিয়ে দিয়েছেন, এর সঙ্গে দলের কেউ জড়িত থাকলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শীতলকুচির সভা থেকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের ঘোষণা, “পঞ্চায়েতের পাহারাদারের নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। নিজে থেকে কাল ভোট করাব। সিতাইয়ের গোঁসাইবাড়ির মাঠে আবার ভোটগ্রহণ হবে।” একইসঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, “কেউ যদি মনে করে জোর করে গণ্ডগোল করব, গা জোয়ারি-দাদাগিরি করব, তা চলবে না।”