বকেয়া DA দিলে বন্ধ হবে লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী স্বাস্থ্য সাথীর মতো সামাজিক প্রকল্প। সরকারি কর্মীদের ডিএ নিয়ে মন্তব্য করতে এমনটাই আশঙ্কা করলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, ‘কোনটা প্রায়োরিটি ?… কোনটা চান আপনারা? মমতা দুই বা তিন লাখ মানুষকে ডিএ দিতে পারছেন না, আর দশ কোটি মানুষকে খাওয়াচ্ছেন। কোনটা প্রেফারেন্স, আপনারাই বলুন।”
খড়দা পাতুলিয়া পঞ্চায়েত এলাকায় ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ অনুষ্ঠানে এসে ডিএ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ডিএ দিতে গেলে সরকারের স্বাস্থ্যসাথী, লক্ষীর ভাণ্ডারের টাকাটা বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে জানান তিনি। শোভনদেবের মন্তব্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল।
তাঁর কথায়, “আমাদের যে প্রান্তিক মানুষটা পাহাড়ে থাকে, আমাদের গরিব মানুষটা যে গ্রামে যে মাসে একবার মাছ খেতে পায়, টাকার অভাবের জন্যে। তাঁকে আমি কিছু সাহায্য করব, নাকি যে মানুষটা সপ্তাহে অন্তত এক-দুবার মাছ খেতে পায়, তাঁকে আমি সাহায্য করব। কোনটা?” টাকাটা পেয়ে গরিব মানুষ যদি খেয়ে বেঁচে থাকেন, তাহলে আমি বলব, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক কাজ করছেন’ মন্তব্য মন্ত্রীর।
আরো পড়ুন- দ্য হিস্ট্রি অফ ইসরায়েলে জামাই বলে উল্লেখ! মোসাদের এক দুর্ধর্ষ মিশরীয় এজেন্ট এঞ্জেল
এরপরেই মন্ত্রী বলেন, “বাংলার দশ কোটি মানুষকে চাল দিয়ে খাওয়াচ্ছে, সেটা অন্যায়? কেন তিন লাখ লোক ডিএ পাচ্ছে না, সেটা অপরাধ। একবার বুকে হাত দিয়ে ভাববেন এটা।” এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘ডিএ না পেলে আমার খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে না। কিন্তু ডিএ দিলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যেতে পারে, স্বাস্থ্যসাথী বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কন্যাশ্রীর টাকাটা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আপনারাই বিচার করবেন।”