আগে প্রায় আড়াইশো জনেরও বেশি চাকরি বাতিল করে বেতন বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ৷ এবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে প্রাথমিকে আরও ৩ শিক্ষকের চাকরি গেল। পাশাপাশি তাদের বেতন বন্ধের নির্দেশও বহাল রাখলেন বিচারপতি ৷ এখনও পর্যন্ত প্রাথমিকে মোট ২৫৬ জনের চাকরি বাতিল এবং বেতন বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে। সেই নির্দেশ এদিনও বহাল রাখলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এখনও পর্যন্ত মাত্র দুজনের চাকরি ফিরিয়ে দিয়েছে আদালত। এই দুই প্রাথমিক শিক্ষককে (Primary Teacher) চাকরিতে পুনর্বহাল করার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আরও একটি মামলা হয়েছে।
আরো পড়ুন- পঞ্চায়েত ভোটে নেতার পরিবারের সদস্যরা কি টিকিট পাবেন? জোর চর্চা তৃণমূলে
কিন্তু হাইকোর্টে মামলার শুনানিতে বেশিরভাগ চাকরিপ্রার্থী আত্মপক্ষ সমর্থনে ভালো আইনজীবী পর্যন্ত নিয়োগ করতে ব্যর্থ হন ৷ ফলত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় দফায়-দফায় প্রায় সব শিক্ষকের চাকরিই বাতিল করেছেন। দু-একজন প্রার্থী আদালতে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে চাকরি পেয়েছিলেন সেই জন্য তাদের চাকরি বাতিল করেননি তিনি।
উল্লেখ্য, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এই শিক্ষকদের ব্যাপারে তদন্ত করতে গিয়ে দেখে যে, অধিকাংশ প্রার্থীকে কোনও একটি মোবাইল নম্বর থেকে এসএমএস করে জানানো হয় তারা নিয়োগপত্র নেওয়ার ব্যাপারে। যার পুরোটাই হয়েছিল আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে। যদিও পুরো বিষয়টাই এখনো তদন্তাধীন।