এই শিক্ষাবর্ষ থেকেই বড় বদল আনতে চলেছে সিবিএসই (CBSE)। ২০২৪ সালের বোর্ড পরীক্ষার জন্য তৈরি প্রশ্নমালার প্যাটার্নও বদলে দেওয়ার ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় বোর্ড। জানানো হয়েছে, লম্বা উত্তররের প্রশ্নের বদলে এমসিকিউ-র ওপর বেশি জোর দেওয়া হবে। জাতীয় শিক্ষা নীতির পথ অনুসরণ করেই এই পদক্ষেপ করবে সিবিএসই।
২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত হতে চলা দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষাগুলির জন্য নয়া প্যাটার্নে প্রশ্নমালা তৈরি করা হবে। নতুন প্যাটার্নে, সংক্ষিপ্ত এবং দীর্ঘ উত্তরের প্রশ্নের জন্য বরাদ্দ নম্বর কমানো হবে। এদিকে বিষয়ের আরও গভীরে গিয়ে পড়ুয়াদের পড়াশোনা করতে উৎসাহী করতে এমসিকিউ বা বহুনির্বাচনী প্রশ্নের ওপর জোর দেওয় হবে।
সিবিএসই কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই এক রিপোর্টে জানিয়েছে, ২০২৪ সালের বোর্ড পরীক্ষা থেকে জাতীয় শিক্ষাক্রম কাঠামো অনুযায়ী পরীক্ষার প্যাটার্ন সংস্কার করা হবে। উল্লেখ্য, ২০২০-২১ সাল থেকেই ধীরে ধীরে এমসিকিউ-এর ওপর বেশি জোর দেওয়া শুর করেছিল সিবিএসই। তবে এই শিক্ষাবর্ষে জাতীয় শিক্ষা নীতির পথ অনুসরণ করে বড় পদক্ষেপ করতে চলেছে বোর্ড।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ১০ শ্রেণিতে কেস ভিত্তিক এমসিকিউ প্রশ্নের ভাগ ৪০ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করা হবে। এদিকে অবজেকটিভ সেকশনেও এমসিকিউ-এর মতোই প্রশ্ন থাকবে। প্রশ্নপত্রে অবজেকটিভ প্রশ্নের জন্য বরাদ্দ থাকবে ২০ শতাংশ নম্বর। এদিকে দীর্ঘ জবাবের প্রশ্নের ভাগ থাকবে ৩০ শতাংশ। আগের শিক্ষাবর্ষে দীর্ঘ জবাবের প্রশ্নের জন্য ৪০ শতাংশ নম্বর বরাদ্দ ছিল। তা এবছর ১০ শতাংশ কমানে হয়েছে।
এদিকে দ্বাদশ শ্রেণিতে কেস ভিত্তিক এমসিকিউ প্রশ্নের ভাগ ৩০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করা হবে ২০২৪ সালের পরীক্ষায়। এদিকে অবজেকটিভ সেকশনে এমসিকিউ-এর মতোই প্রশ্ন থাকবে। প্রশ্নপত্রে অবজেকটিভ প্রশ্নের জন্য বরাদ্দ থাকবে ২০ শতাংশ নম্বর। এদিকে দীর্ঘ জবাবের প্রশ্নের ভাগ থাকবে ৪০ শতাংশ। আগের শিক্ষাবর্ষে দীর্ঘ জবাবের প্রশ্নের জন্য ৫০ শতাংশ নম্বর বরাদ্দ ছিল। তা এবছর ১০ শতাংশ কমানে হয়েছে।
এই প্রশ্নের প্যাটার্ন বদল নিয়ে সিবিএসই-র ডিরেক্টর জোসেফ ইমানুয়েল জানান, শিশুদের মধ্যে সৃজনশীল এবং সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনার ক্ষমতা বিকাশের উপর জোর দেওয়া হয়েছে জাতীয় শিক্ষা নীতিতে। সেই কারণেই এটা নিশ্চিত করতে হবে যাতে পড়ুয়ারা বিষয়ের গভীরে গিয়ে পড়াশোনা করেন। পাশাপাশি বাস্তমমুখী পড়াশোনার ওপরও জোর দিতে হবে। বর্তমান সময়ের চ্যালেঞ্জ অনুযায়ী শিশুদের প্রস্তুত করতেই প্রশ্ন প্যাটার্নে বদল আনা হচ্ছে।