‘ইউরোপীয়দের চোখে পাল্কী’ - Ei Bangla
Ei Bangla ব্লগ ‘ইউরোপীয়দের চোখে পাল্কী’

‘ইউরোপীয়দের চোখে পাল্কী’


রানা চক্রবর্তীঃ ইউরোপীয়দের দৃষ্টিতে পাল্কী নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে শুরুতেই একটি কাহিনী কল্পনা করা যাক। আঠারো শতকের কলকাতা। নবাগত এক ইংরেজ-নন্দন জাহাজ থেকে নেমে চৌরঙ্গীতে এসে দাঁড়ালেন। তারপরে নেশার ঘোরে রাঙা চোখ দুটি দিয়ে কোন রকমে একটা ল্যাম্পপোষ্টে ভর দিয়ে পথের দিকে চেয়ে দেখলেন; এবং যা দেখলেন তাতে তাঁর নেশা ছুটে যাওয়ার দাখিল হল। তিনি দেখলেন যে, সামনের রাস্তা সার বেঁধে কফিন নিয়ে শব-বাহকের দল ছুটে চলেছে। দেখতে দেখতে পাঁচ মিনিটের মধ্যে ছ’টি কফিন সেই রাস্তা দিয়ে পার হয়ে গেল। তিনি ভাবলেন, কলকাতায় কোন ‘এপিডেমিক’ লেগেছে নাকি? তবে সেটা যে কোন মহামারী ছিল না, সেই তত্ত্ব তিনি অবশ্য কয়েক মিনিট পরেই বুঝতে পেরেছিলেন। নেশার ঝোঁকে যেটাকে তিনি কফিন বলে ভেবেছিলেন, পরে জেনেছিলেন সেটারই নাম হল পাল্কী। তাতে জ্যান্ত মানুষকেই বহন করা হয়, আর একমাত্র ধনী লোকেরাই ওই বিচিত্র যানটির আরোহী হতে পারেন। সেকালে ইউরোপ থেকে কোন এক নবাগত ইংরেজ যুবকের দৃষ্টি বিভ্রমকে অবলম্বন করে ‘চারিভরি’তে উপরোক্ত কল্প-কাহিনীর কার্টুনটি প্রকাশিত হয়েছিল।

বেকন বিলেতে থাকতে জনসনের ডিক্সনারীতে পাল্কী শব্দের অর্থ দেখেছিলেন – ‘Indian Sedan’; এবং তারপরে ভারতে এসে তিনি যখন প্রথমবারের জন্য পাল্কী প্রত্যক্ষ করেছিলেন, তখন জনসনের বাপান্ত করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেন নি। বেকন তাঁর লেখায় ভারতীয় পাল্কীকে – “barbarous method of locomotion” – বলে অভিহিত করেছিলেন। ‘চার্লস গ্রান্ট’ তাঁর লেখায় তখনকার পাল্কী নিয়ে আরও অপ্রিয় সত্য ফাঁস করে দিয়ে লিখেছিলেন, “সাহেবদের মধ্যে প্রায় প্রত্যেকেই প্রথমবার পাল্কী চড়তে গিয়ে অপ্রস্তুত হতেন। যেখানে পা রাখতে হয় সেখানে মাথা রাখতেন, আর মখমল আঁটা যে জায়গাটিতে পিঠ ঠেকাবার নিয়ম, সেখানে পা রাখতেন।”

আরো পড়ুন- চিন্তা রেকর্ডিং করা ক্যামেরা থেকে তারবিহীন বিদ্যুৎ! নিকোলাস টেসলার যে ৪ টি আবিষ্কার আলোর মুখ দেখতে পায়নি

অন্যান্য যানের মত পাল্কীও নানাবিধ বিবর্তনের মধ্যে দিয়ে অগ্রসর হয়েছিল। ‘লিনসোটেন’ তাঁর গ্রন্থে ১৫৯৮ সালের প্রচলিত পাল্কীর একটি ছবি দিয়েছিলেন। সেটার পোশাকী নাম যাই হোক না কেন, সেটা আসলে বাঁশে ঝোলানো একটা চৌপাই ছাড়া আর কিছুই ছিল না। ‘হ্যাডলী’ সাহেব সেই চৌপাইকে ‘বেড প্যালাঙ্কিন’ বলেছিলেন। তাঁর মতে ওই পাল্কী দু’রকমের ছিল – ‘চেয়ার পাল্কী’ ও ‘বেড পাল্কী’। চেয়ার পাল্কী অনেকটা সিডান চেয়ারের মত দেখতে ছিল। সেটা তখন একমাত্র কলকাতা শহরেই চলত। আর বেড পাল্কী ছিল কোচের মত বেশ সুন্দর গদী-আঁটা। দূর পাল্লার যাত্রায় সেই পাল্কী খুব জোরে যেতে পারত। সম্ভবতঃ সেই কারণেই ‘উইলিয়মসন’ সেটাকে ‘ফ্লাই-প্যালাঙ্কি’ বলে অভিহিত করেছিলেন। তবে ওগুলোকে চারপাই বা পাল্কী, যাই বলা হোক না কেন, সেগুলির খুব বাহার ছিল। আঠারো শতকের শুরু থেকে সেগুলোর গায়ে অলঙ্করণ করা শুরু হয়েছিল। তখনই সেগুলোর চারটি পায়ে পিতলের তবক আঁটা হয়েছিল, আর কোচের দুই হাতার সম্মুখের দিক তক্ষণ করে বাঘ বা কুমীরের মুখ আঁকা শুরু হয়েছিল। এছাড়া বর্ষার সময়ে যাত্রী যাতে ভিজে না যান, সেটার জন্য বাঁশের ফ্রেম বানিয়ে মোম মাখানো কাপড় আঁটা হয়েছিল। প্রথম দিকে ওগুলির পায়া খুব বড় ছিল, সেজন্য যাত্রীকে তখন মাটি থেকে বেশ একটু উঁচুতে উঠে সেগুলোর মধ্যে বসতে হত। পরবর্তী কালে সেগুলোর পায়া ছোট করা হয়েছিল, আর মাথার উপরটাও আর নিরাবরণ রাখা হয়নি। যাত্রী যাতে বেশ একটু আরামে হাত পা ছড়িয়ে বসতে পারেন সেজন্য ভিতরে যথেষ্ট জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। উইলিয়মসনের বিবরণ অনুসারে সেগুলি চওড়ায় সাড়ে চার ফুট ছিল।
তখন যাঁদের অবস্থা কিছুটা ভাল ছিল, তাঁরা নিজেদের বাড়িতে দু’রকমের পাল্কী রাখতেন। সেগুলোর মধ্যে একটি নিত্য ব্যবহার্য ছিল, আর দ্বিতীয়টি কোন বিশেষ উৎসব উপলক্ষে ব্যবহার করা হত। সেকালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর অফিসারেরা দেশীয় রাজন্যদের সঙ্গে টেক্কা দিয়ে নিজেদের জন্য পাল্কী তৈরি করাতেন। তাঁদের পাল্কীর সাজগোজ রীতিমত দেখবার মত ছিল। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে যে, কোম্পানীর ১৭১৬ সালের ১২ই জুন তারিখের ‘কন্সালটেসনে’ বলা হয়েছিল, “পুরাতন তিনটি পাল্কী অব্যবহার্য হয়ে পড়ায় সেগুলির যাবতীয় রূপার সাজ ওজন করে বিক্রী করে দেওয়া হোক।” আঠারো শতকের শেষের দিকটা বঙ্গদেশে বেড পাল্কীর স্বর্ণ যুগ ছিল। ঊনিশ শতকের শুরুতেই সেই জায়গায় ‘মহন্না’ দেখা দিয়েছিল। ১৮১০ সালে উইলিয়মসন ১৮১০ সালে লিখেছিলেন, “বেড পাল্কী এত সেকেলে হয়ে গিয়েছে যে, ইউরোপীয়ানরা কেউ আর সেটা ব্যবহার করেন না। এখন প্রায় সবাই মহন্না ব্যবহার করেন। মহন্নার চারটি পায়া, উচ্চতা মাটি থেকে এক ফুট। উচ্চতা এমন যাতে একটি প্রমাণ আকারের মানুষ খাড়া হয়ে তাতে বসতে পারেন। অর্থাৎ, তিন থেকে সাড়ে তিন ফুট, লম্বায় ছ’ ফুট, চওড়ায় দুই থেকে আড়াই ফুট।” মহন্না যাতে বেশী ভারী না হয়, সেজন্য তাতে কম কাঠ ব্যবহার করা হত, বেত ও বাঁশের ব্যবহারই বেশী ছিল। সেটির দু’ পাশে অনেকটা জায়গা দরজা হিসাবে ব্যবহারের জন্য খালি রাখা হত। বাকীটুকুর মধ্যে নিম্নাংশের পাতলা কাঠের ও উপরাংশের ভেনেসিয়ান কাঁচের আবরণ থাকত। বসবার জায়গায় গদী আঁটা থাকত, এবং চারদিকে সাদা রঙের দেওয়াল ছিল। এছাড়া সেটির দু’ পাশে দুটি সেলফ, একটি ছোট আয়না, চিরুণী, হয়ত টুকিটাকী আরও কিছু জিনিস রাখবার জায়গা থাকত। গরমকালে সেটির খোলা দরজায় খস ঝুলিয়ে দেওয়া হত। সেই খস সর্বদা ভিজে রাখবার জন্য দু’জন ভিস্তিওয়ালা পাল্কীর দুই পাশে জল নিয়ে ছুটতেন।

তবে তখনকার সবচেয়ে রাজকীয় পাল্কীর নাম ছিল ‘নোলকি’। তবে ইউরোপীয়দের মধ্যে কেউই নিজের লেখায় সেটার কোন বর্ণনা দেননি, শুধুমাত্র নাম উল্লেখ করেছিলেন। সম্ভবতঃ নবাবেরাই সেগুলি ব্যবহার করতেন। তখনকার সাহেব-মহলে সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত হয়েছিল ‘বোচা’ বা চেয়ার পাল্কী। মেমসাহেবরা তো হামেশাই বোচা ব্যবহার করতেন। দূরে কোথাও যাত্রার সময়ে সাহেবরাও বোচা পছন্দ করতেন; কারণ, বোচা খুব সরু পথ দিয়েও চলতে পারত, এবং তাতে বাহক কম লাগত। তবে দু’জন যাত্রী হলে তখন ‘তাঞ্জাম’ ব্যবহার করা হত। বোচা ও তাঞ্জামের অঙ্গসজ্জা রীতিমত দেখবার জিনিস। একটা রথের উপরে সিডান চেয়ার বসালে যেমন দেখতে হয়, বোচাও তেমনি দেখতে ছিল; আর তাঞ্জাম ছিল পাহাড়ী-পথের ঝাঁপানের মত। ইউরোপীয়ানরা তাঞ্জাম কম ব্যবহার করলেও, সবাই সেটার সাজ-সজ্জার প্রশংসা করেছিলেন।
১৭৮০-তে হ্যাডলী লিখেছিলেন, “The palanquin is so necessary an article at Calcutta that even European artificers keep them.” কিন্তু যতই ‘নেসেসারী’ হোক না কেন, কোম্পানীর লণ্ডনস্থ ডিরেক্টররা নিম্নস্তরের কর্মচারীদের পাল্কী ব্যবহারে বাদ সেধেছিলেন। তাঁদের কাছে সামান্য বেতনের রাইটারদের পাল্কী ব্যবহার করাটা বিলাসিতা মাত্র ছিল। ১৮৫৪ সালে রাইটারদের ঘোড়া চেয়ার বা পাল্কীর খরচ বন্ধ করবার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে রাইটাররা কিন্তু সেই আদেশ নিঃশব্দে মেনে নেন নি, তাঁরা লণ্ডনে ডিরেক্টরদের কাছে ওই আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। যতদিন পর্যন্ত সেই আবেদনের জবাব না আসে, ততদিন পর্যন্ত কলকাতার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ রাইটারদের পাল্কী ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিলেন। বলা বাহুল্য যে, তখন ভারত থেকে লণ্ডনের অফিসে কোন আবেদনপত্র পাঠালে, সেখান থেকে সেটার জবাব আসতে কমপক্ষে এক বছর সময় লেগে যেত। তাই একবছর পরে সেই বিষয়ে কোম্পানির জবাব এসেছিল। তাঁরা জানিয়েছিলেন যে, রাইটারদের পাল্কী ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া কিছতেই সম্ভব নয়। কারণ, কোম্পানির কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মাঝে মাঝে অসাধু উপায়ে অর্থ উপার্জনের যে অভিযোগ পাওয়া যায়, তাঁদের পাল্কী ব্যবহারের দ্বারা সেই অভিযোগের সত্যতাই প্রমাণিত হয়। তবে লণ্ডনের ডিরেক্টররা অনুমতি না দিলেও কোম্পানির কর্মচারীরা কিন্তু পাল্কীর ব্যবহার চালিয়ে গিয়েছিলেন, এবং তাতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের যে কোন মৌনসম্মতি ছিল না – এমনটা কিন্তু নয়। শেষে ১৮৫৮ সালে কোম্পানির ডিরেক্টররা রাইটারদের পাল্কীর ব্যবহার নিয়ে চরম হুকুমনামা পাঠিয়েছিলেন, “… no writer whatsoever be permitted to keep either palanquin, horse or chaise, on pain of being immediately dismissed from our service.” কিন্তু সেবারেও কোম্পানির আগের আদেশের মতোই ওই আদেশেও কেউ কর্ণপাত করেন নি। অবশ্য তখন সেটার কোন প্রয়োজনও ছিল না। কারণ তার বহু আগেই কলকাতার রাস্তার নতুন একটি চক্রযানের অভ্যুদয় ঘটেছিল। লর্ড হেস্টিংসের আমল থেকেই কোম্পানির কর্মচারীরা একটু একটু করে পাল্কী ছেড়ে ‘কেরাঞ্চি’ গাড়ি ব্যবহার করতে শুরু করেছিলেন। এরপরে সেই ব্যবহার ব্যাপকভাবে শুরু হয়েছি।

‘বিশপ হেবার’ ঊনিশ শতকের কলকাতার (১৮২৪-২৫) ইউরোপীয়দের বিলাসিতার বর্ণনা দিতে গিয়ে লিখেছিলেন, “তাঁরা এমন পাল্কী ব্যবহার করেন যেটার দাম তিনশো টাকা। আগে নাকি এক একটি পাল্কী তিন হাজার টাকা দামেও বিক্রি হয়েছিল!” ঊনিশ শতকের প্রথম দিকেও কলকাতায় পাল্কীর পরাক্রম অব্যাহত ছিল। সাহেবরা তখন পাল্কী চড়ে যেতে যেতে বাহকের কণ্ঠে পাল্কীর গান শুনতেন। একবার এক সাহেবের সেই গানের মর্মার্থ জানবার জন্য খুব আগ্রহ হয়েছিল। এবং সব শুনে তাঁর চক্ষুস্থির হয়ে গিয়েছিল। ‘ডিউয়ার’ সাহেব গানটি সংগ্রহ করে অনুবাদ করেছিলেন –
“Oh what a heavy bag.
No, it is an elephant.
He is an awful weight.
Let us throw his palki down.
Let us set him in the mud.
Let us leave him to his fate.
Aye, but he will hit us then with a thick stick.
Then let us make haste and get along
… Hop along quickly.”
চার্লস গ্রান্ট ঊনিশ শতকের কলকাতায় পাল্কী রাখবার খরচ সম্পর্কে বিস্তৃত তথ্য দিয়েছিলেন। তাঁর সময়ে, অর্থাৎ ১৮৪০ সালে, একটা ঠিকা পাল্কীর ভাড়া ছিল মাসিক ২৫ টাকা; অবশ্য তখন বাড়িতে পাল্কী রাখলে মাসিক ৩৫ টাকা খরচ হত। সেই সময়ে সাহেবরা খুব কমই ভাড়া পাল্কী ব্যবহার করতেন। তখন প্রাইভেট পাল্কীর বেহারারা ‘রব্বানি’ হলে ছ’জন লাগত, আর ‘উড়িয়া’ হলে পাঁচজন লাগত। রব্বানীরা ছ’জনই পাল্কীর সঙ্গে ছুটতেন, কিন্তু উড়িয়ারা পাঁচজনে পাল্কীর সঙ্গে ছুটতেন, আর একজন সঙ্গীদের আহার্য বহন করতেন। সেই সময়ে একজন ঠিকা বেহারার দৈনিক ভাড়া ছিল পাঁচসিকে; সেটার মধ্যে পাল্কী ভাড়া ছিল চার আনা, আর বাকী এক টাকা সকলের মধ্যে বণ্টিত হত। ঠিকা পাল্কী সারা দিনের জন্য ভাড়া নিতে হত। বাহকদের নিজস্ব বলে কোন পাল্কী ছিল না। গ্রান্টের সময়ে কলকাতার রাস্তায় ঘোড়ার প্রাধান্য খুবই বেশী ছিল। সেজন্য নিজের লেখায় পাল্কীর নাম তিনি সব শেষে উল্লেখ করেছিলেন। তাঁর সময়ে কলকাতায় পাল্কী-বাহকের সংখ্যা ছিল এগারো হাজার পাঁচশো জন। সেই বিপুল সংখ্যক বাহকদের তিনি কর্মান্তরে নিয়োগ করবার জন্য কাউন্সিলের কাছে প্রস্তাব করেছিলেন। মানুষকে পশুর মত ব্যবহৃত হতে দেখে তাঁর অন্তর ব্যথিত হয়ে উঠেছিল। ভারতের পাল্কী প্রসঙ্গে ‘John De Couteur’ লিখেছিলেন, “It must be acknowledged that no man of consequence ever makes use of his legs, or goes out of his house but in his palanquin, the ladies are carried in a kind of sedan chair and the gentlemen on little couches six feet long and two feet broad, which in summer has generally a covering scarlet and in a rainy season, one of oiled cloth, they are lined with silk and well stuffed with cotton.”

(তথ্যসূত্র:
১- Charles Grant And British Rule In India.
২- Letters Chiefly From India, John De Couteur.
৩- Memoir of a Cadet, A Bengalee.
৪- The Life and Writings of Bishop Heber: The Great Missionary to Calcutta, the Scholar, the Poet, and the Christian; Reginald Heber.)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Post

পৃথিবীর ইতিহাসে সবথেকে বড় সামুদ্রিক যুদ্ধপৃথিবীর ইতিহাসে সবথেকে বড় সামুদ্রিক যুদ্ধ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়ে যাওয়ার পর ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল জানিয়েছিলেন যুদ্ধকালীন সময়ে তাঁর সবচেয়ে চিন্তার কারন ছিল জার্মানির ইউবোট। তিনি আরও জানিয়েছিলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যখন ব্রিটেনের যুদ্ধ হচ্ছিল তখন

হেস্টিংস সাহেবের হানাবাড়িহেস্টিংস সাহেবের হানাবাড়ি

রানা চক্রবর্তীঃ কলকাতার আলিপুরের ‘বেলভেডিয়ারের বাড়ির’ সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেক রোমাঞ্চকর ঘটনা। এটি ছিল ‘লাটসাহেবেব পুরনো বাড়ি’, বর্তমানে এখানেই গড়ে উঠেছে আমাদের ‘ন্যাশনাল লাইব্রেরি’। এই বাড়িতেই একসময় বসবাস করতেন ‘বহু

স্বামীজীর ছায়ায় শ্রীঅরবিন্দস্বামীজীর ছায়ায় শ্রীঅরবিন্দ

রানা চক্রবর্তীঃ ‘রোমাঁ রোলাঁ’ শ্রীঅরবিন্দকে ‘নব ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবী’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। (Prophets of the New India) ‘বুদ্ধিজীবী’ বলতে যদি তাঁদেরই বোঝায় যাঁরা নিজেদের ‘বুদ্ধি’ ও ‘প্রজ্ঞা’ দিয়ে জগৎকে বুঝতে

চীনকে চাপে রাখতে আগামী পাঁচ বছরে ভারতের বিদেশনীতিতে মঙ্গোলিয়া ভীষণভাবে গুরুত্বপূর্ন হতে চলেছেচীনকে চাপে রাখতে আগামী পাঁচ বছরে ভারতের বিদেশনীতিতে মঙ্গোলিয়া ভীষণভাবে গুরুত্বপূর্ন হতে চলেছে

আগামী পাঁচ বছরে ভারতের বিদেশনীতিতে মঙ্গোলিয়া ভারতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ন হতে চলেছে। ভারতের কাছে স্ট্রাটেজিক্যালি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন মঙ্গোলিয়া। পূর্ব এশিয়ায় অবস্থিত মঙ্গোলিয়ার সাথে পৃথিবীর দুটি অন্যতম শক্তিশালী দেশ রাশিয়া ও