বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরিচারিকার সঙ্গে সহবাসের অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের এক সিপিএম নেতার বিরুদ্ধে । বছর পঁচিশের ওই মহিলা বুধবার ভাতার থানার পুলিশের কাছে অভিযোগে জানিয়েছেন,বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে শেখ জামাল নামে ওই সিপিএম নেতা প্রায় ৯ মাস ধরে তার সঙ্গে সহবাস করে আসছিল । বর্তমানে তিনি চার মাসের অন্তসত্ত্বা । সেই কারনে তিনি জামালকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন । কিন্তু সে বিয়ে করতে অস্বীকার করে,এমনকি পরিবারের লোকজন তাকে হুককিও দিত বলে অভিযোগ তাঁর । এদিকে মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার রাতেই ওই সিপিএম নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । ধৃতের বাড়ি ভাতার থানার পাটনা গ্রামে । তিনি সিপিএমের ভাতার ১ নম্বর এরিয়া কমিটির সদস্য । বৃহস্পতিবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পাঠানো হয়েছে ।
পুলিশ সূত্রে খবর, পেশায় কৃষক ওই সিপিএম নেতা ভাতারের পাটনা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সিপিএমের ভাতার-১ ব্লকের এরিয়া কমিটির সদস্য। তাঁর এক সন্তান রয়েছে। সন্তানের পড়াশোনার সুবিধার্থে তাকে নিয়ে বর্ধমান শহরের কাছে আলাদা থাকেন স্ত্রী। ওই গ্রামেই অভিযোগকারিণী পরিচারিকার বাপের বাড়ি। ৫ বছর আগে পরিচারিকার সঙ্গে তাঁর স্বামীর বিচ্ছেদ হয়। তাঁরও এক সন্তান রয়েছে। প্রাক্তন স্বামীর কাছে থাকে সন্তান। সিপিএম নেতার বাড়িতে রয়েছেন তাঁর বৃদ্ধ বাবা-মা। তাঁদের দেখভাল এবং বাড়ির কাজের জন্য ওই মহিলাকে পরিচারিকার কাজে নিয়োগ করেছিলেন তিনি।
আরো পড়ুন- উত্তরাখণ্ডে চাকরিপ্রার্থীদের মিছিলে পুলিশের লাঠি, ধুন্ধুমার দেহরাদূনে
পরিচারিকার অভিযোগ, স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ করবেন বলে তাঁকে জানিয়েছিলেন ওই সিপিএম নেতা। তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলে বলে অভিযোগ। তাঁর আরও অভিযোগ, গত ৯ মাস ধরে তাঁর সঙ্গে সহবাস করেন ওই সিপিএম নেতা। তিনি ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে দাবি করেছেন ওই পরিচারিকা। এর পরেই ওই নেতা তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ পরিচারিকার। বুধবার রাতে ভাতার থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন পরিচারিকা। তাঁর পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই সিপিএম নেতা। তাঁর দাবি, ‘‘আমি নির্দোষ। আমায় ফাঁসানো হয়েছে।’’
এই ঘটনাকে ঘিরে জেলায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিরোধীদের চাপে রাখতে চক্রান্ত করে ওই নেতাকে ফাঁসানো হয়েছে। এর নেপথ্যে রয়েছে তৃণমূল। সিপিএমের সারা ভারত কৃষকসভার পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সহ-সম্পাদক নজরুল হক বলেন, ‘‘শাসকদল পুলিশকে কাজে লাগিয়ে ওই মহিলাকে দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে আমাদের সংগঠন বৃদ্ধি পেতে দেখে তৃণমূল এই ধরনের চক্রান্ত করেছে।’’