দলের কর্মসূচিতে বিক্ষোভ, দিদির দুত হয়ে গ্রামের ঢুকতেই পারলেন না দেবাংশু ভট্টাচার্য। বীরভূমের বালিজুড়ি পঞ্চায়েতের দিহিপাড়া গ্রামে উত্তেজনা। দিদির দূত কর্মসূচিতে গ্রামে দেবাংশু ভট্টাচার্য আসার পর উত্তেজনা।‘এলাকার কোনও উন্নয়নই হয়নি, এই অভিযোগে দেবাংশুকে ঘিরে শুরু হয় প্রবল বিক্ষোভ। উপর্যুপরি বিক্ষোভের জেরে এদিন গ্রামেই ঢুকতে পাররেনি তৃণমূলের এই মুখপাত্র। বাধ্য হয়েই এদিন ফিরে আসেন তিনি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ কর্মসূচি নিয়ে বাংলার গ্রামে-গ্রামে পৌঁছে যাচ্ছেন তৃণমূলের নেতারা। সাংসদ, বিধায়ক থেকে শুরু করে দলের মুখাপাত্ররা পালা করে করে গ্রামে ঘুরছেন। তবে তৃণমূল নেতাদের এই গ্রাম সফর ঘিরে বাড়ছে উত্তেজনা। গত কয়েকদিনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের নেতাদের।
‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ কর্মসূচিতে শুক্রবার রামপুরহাটের মেলেরডাঙা গ্রামে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে দেখা যায় তৃণমূলের তারকা সাংসদ শতাব্দী রায়কে। তারই কিছুক্ষণের মধ্যে এই একই কর্মসূচিতে গিয়ে নজিরবিহীন বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূলের মুখপাত্র দেবাংশু রায়। শুক্রবার দুবরাজপুরের দিহিপাড়া গ্রামে ঢুকতেই পারলেন না যুব তৃণমূলের এই নেতা।
‘তৃণমূলের আমলে এলাকায় উন্নয়নের কোনও কাজই হয়নি। বারবার আশ্বাস দেওয়া হলেও রাস্তা, পানীয় জলের বন্দোবস্ত করা যায়নি।’ এই অভিযোগে দেবাংশুকে দেখেই এদিন কার্যত রে-রে করে তেড়ে যেতে দেখা যায় গ্রামবাসীদের। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে এদিন তৃণমূলের কর্মীরাও ছিলেন।
গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ সামাল দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেও কার্যত ব্যর্থ হন দেবাংশু। স্থানীয়দের অভাব-অভিযোগের কথা সংশ্লিষ্ট মহলে জানাবেন বলেও আশ্বাস দেন দেবাংশু। তাতেও চিঁড়ে ভেজেনি। দেবাংশুকে গ্রামেই ঢুকতে দেননি বাসিন্দারা। ‘আগে উন্নয়ন হবে তারপর গ্রামে ঢুকবেন’, দিহিপাড়ার বাসিন্দাদের একথা শুনে বাধ্য হয়েই এদিন ফিরে যান দেবাংশু।