পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলকে চাঙ্গা করতে নয়া কৌশল আলিমুদ্দিনের। আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে ‘ঝটিকা বাহিনি’ তৈরি রাখতে চাইছে সিপিএম (CPM)। কোনও কর্মসূচিতে প্রশাসনের তরফে অনুমতি পাওয়া না গেলেও বিকল্প রাস্তা তৈরি রাখতে চায় আলিমুদ্দিন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলকে চাঙ্গা করার পরিকল্পনা আগেই হয়েছে। দলকে চাঙ্গা করতে গেলে লাগাতার আন্দোলনও চলছে। এবার কোনও আন্দোলনে দ্রুত নামতে নতুন টিম, যাকে বলা হচ্ছে ঝটিকা বাহিনী।
আরো পড়ুন- মাঝ আকাশে দুর্ঘটনার কবলে নৌসেনার কপ্টার
কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কোনও আন্দোলন হোক অথবা শাসক দলের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ পেলে কর্মসূচি। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তৎক্ষণাৎ ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। বৈঠক বা আলোচনা করে সময় নিয়ে কর্মসূচি নয়। জ্বলন্ত বা হাতে-গরম ইস্যু এলেই সঙ্গে সঙ্গে জঙ্গি আন্দোলন। বিজেপি নামার আগেই ইস্যুকে ধরে নেওয়া। অনেক সময় দিনক্ষণ ঠিক করে সভা সমিতি বা বিক্ষোভ কর্মসূচি করার সিদ্ধান্ত নিতে সময় লেগে যায়। অনেক সময় আবার প্রশাসনের তরফ থেকে অনুমতিও মেলে না। ফলে সবকিছু গুছিয়ে আন্দোলনে নামতে গিয়ে ইস্যুটাই হারিয়ে যায়। তাই এ বার থেকে সরকার বা শাসকদলের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ পেলেই তৎক্ষণাৎ রাস্তায় নেমে পড়তে হবে। এমনই পরিকল্পনা বঙ্গ সিপিএমের।
বিরাট জমায়েতের অপেক্ষা না করে ছোট ছোট দলেই নামতে হবে। মিটিং, মিছিল থেকে শুরু করে রাস্তা অবরোধ সব কিছুর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে কর্মীদের। এমনই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে পার্টির তরফে। সামনে পঞ্চায়েত ভোট, তারপর লোকসভা নির্বাচন। বড় জমায়েতের থেকে স্ট্রিট কর্নার, এলাকা ভিত্তিক স্কোয়াড, বাড়ি বাড়ি প্রচার ও খাটিয়া বৈঠকে জোর দেওয়া হয়েছে। কারণ, বড় জমায়েতের থেকে এই ছোট কর্মসূচিতে মানুষের কাছে দলের বক্তব্য আরও বেশি করে পৌঁছনো যায়। আর সঙ্গে সঙ্গে পথে নামতে কিছু নেতা কর্মী সমর্থকদের প্রস্তুত রাখা হবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই বাহিনীকেই দেখা যাবে কেন্দ্র বা রাজ্যের পাশাপাশি গ্রামের কোনও সমস্যা নিয়েও পথে নামতে। ইতিমধ্যেই পরীক্ষামূলক ভাবে কয়েকটি কর্মসূচিতে সাফল্য পেয়েছে আলিমুদ্দিন।