সেকালের হাওড়া জেলার কবিয়াল - Ei Bangla
Ei Bangla ব্লগ সেকালের হাওড়া জেলার কবিয়াল

সেকালের হাওড়া জেলার কবিয়াল


রানা চক্রবর্তীঃ হাওড়া জেলার প্রাচীনতম জনপদটির নাম হল শালিখা, যেটি বর্তমানে সালকিয়া নাম পরিচিত। অতীতে সেই প্রাচীন জনপদে এমন কিছু প্রতিভাবান মানুষ বাস করতেন, যাঁদের প্রতিভার আলোকে সারা বাংলা আলোকিত হয়েছিল। বর্তমান চলচ্চিত্র-যাত্রা-থিয়েটার যেমন উন্নত ও জনপ্রিয় হয়ে সাধারণ মানুষের চিত্তবিনোদনের ও চিত্তশোধনের প্রধান আঙ্গিক হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে, তেমনি মধ্যযুগের বঙ্গদেশেও সেরকম লোক-শিক্ষা ও লোক-চিত্তবিনোদনের অঙ্গ হিসেবে কবিগান ও কথকতার প্রাধান্য ছিল। অবশ্য সেসবের জাঁকজমক ও জৌলুস এখনকার চলচ্চিত্র, নাটক ও যাত্রার আসরের মত না হওয়াটাই স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে একথা সত্যি যে, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে প্রাচীন কবিয়ালদের কবিগানের মূল্যে অপরিসীম। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস আলোচনা করলে দেখতে পাওয়া যায় যে, বাংলা সাহিত্যের সার্থক কবিয়াল ‘রাম বসু’ হাওড়া জেলার শালিখার (বর্তমানে সালকিয়া) অধিবাসী ছিলেন। রাম বসুকে আধুনিক কবি গানের জনক বলে আখ্যা দেওয়া হয়। (বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত, ৪র্থ খণ্ড, ডঃ অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যার) রাম বসুর যুগে বাংলার অন্যান্য বিশিষ্ট কবিয়ালদের মধ্যে – ‘ভবানী বেনে’, ‘ঠাকুরদাস সিংহ’ ও ‘মোহন সরকার’ প্রমুখ কবিয়ালরাও ছিলেন। কিন্তু তবুও তাঁরা রাম বসুকে দিয়েই উচ্চ মানের কবিগান রচনা করিয়ে নেওয়ার জন্য তাঁর দ্বারস্থ হতেন। খৃষ্টীয় অষ্টাদশ শতাব্দীতে বঙ্গদেশের একদল কবিয়ালদের ‘দাঁড়াকবি’ বলা হত। এই বিষয়ে সাধারণ একটা ধারণা রয়েছে যে, তাঁরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কবিগান গাইতেন বলে তাঁদেরকে দাঁড়াকবি বলা হত। কিন্তু সেই ধারণাটি নিতান্তই ভুল একটি ধারণা। ‘ডঃ সুকুমার সেন’ তাঁর ‘মধ্যযুগে বাংলা ও বাঙ্গালী’ গ্রন্থে সেই ধারণাকে সম্পূর্ণ ভ্রান্ত বলে লিখেছিলেন, “পাঁচালী যেমন পা-চালি থেকে হয়নি, দাঁড়াকবিও তেমনি ‘দাঁড়ানো’ থেকে আসেনি। আসলে রাম বসুর পূর্বে দু’দল কবিয়ালই প্রশ্ন ও উত্তর আগে থেকেই গড়াপেটা ক’রে আসরে অবতীর্ণ হ’তেন। ফলে আসর প্রথম প্রথম উপভোগ্য হ’লেও পরে অনেকটা পানসে হ’য়ে যেত ৷ এমনও দেখা গেছে যে, নতুন ক’রে প্রশ্ন উত্তর তৈরির জন্য আসরের সাময়িক বিরতি দিয়েও আবার আসর বসানো হ’ত। প্রতিভাধর কবিয়াল রাম বসুই প্রথম যিনি আসরে দাঁড়িয়েই প্রতিপক্ষকে তাৎক্ষণিক প্রশ্নের জবাব দেবার পদ্ধতি চালু করেন। তা থেকেই দাঁড়াকবি কথা চালু হয়।” এই একই প্রসঙ্গে ‘গোপালচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়’ তাঁর ‘প্রাচীন কবি সংগ্রহ’ গ্রন্থের প্রথম খণ্ডে লিখেছিলেন, “আসরে ব’সে প্রতিপক্ষের জবাব দেবার প্রথা প্রচলন করেন তিনিই প্রথম। এটা তাঁর পক্ষেই সম্ভব হয়েছিল কারণ, তিনি একজন উচু স্তরের কবিয়াল ছিলেন ব’লে।” উক্ত রাম বসু সম্পর্কে ‘সংবাদ প্রভাকর’ পত্রিকা লিখেছিল, “ইনি জন্ম কবি ছিলেন। পাঁচ বৎসর বয়সের সময়ে কবিতা রচনা করিয়াছেন।” (ঈশ্বরগুপ্ত রচিত কবি-জীবনী, ডঃ ভবতোষ দত্ত) ইতিহাস বলে যে, রাম বসু হাওড়া জেলার শালিখায় ১৭৮৬ খৃষ্টাব্দে এক সম্ভ্রান্ত কায়স্থ বংশে জন্ম-গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর পুরো নাম ছিল ‘রামমোহন বসু’ (কেউ কেউ ‘রামচন্দ্র বসু’ও বলেন), তবে সাধারণভাবে তিনি রাম বসু নামেই সমধিক প্রসিদ্ধ হয়েছিলেন। রাম বসুর পিতার নাম নিয়েও পণ্ডিতদের মধ্যে মতভেদ দেখতে পাওয়া যায়। কারো কারো মতে তাঁর পিতার নাম ছিল ‘রামলোচন বসু’। কিন্তু গোপালচন্দ্র বন্দোপাধ্যায়ের মতে তাঁর পিতার নাম ছিল ‘জয়নারায়ণ বসু’। আবার ‘ব্রজসুন্দর সান্যাল’ কোথাও তাঁকে ‘রবিলোচন বসু’ তো অন্যত্র তাঁকে ‘রামলোচন বসু’ বলেও উল্লেখ করেছিলেন। রাম বসুর মায়ের নাম ছিল ‘নিস্তারিণী’। শৈশব থেকেই রাম বসুর মধ্যে কবিত্ব শক্তি প্রকাশ পেয়েছিল। একটু বড় হওয়ার পরে তাঁর পিতা তাঁকে ইংরেজী শিক্ষা দিয়ে আরো উন্নত করবার জন্য কলকাতার জোড়াসাঁকোতে নিজের ভগ্নীপতির বাড়িতে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু সংবাদ প্রভাকরের মতে – “বারাণসী ঘোষের বাড়িতে তাঁহার পিসার নিকট থাকিয়া তিনি লেখাপড়া করিতেন।” রামবাবু কিছু ইংরেজী শিখে নিজের প্রথম জীবনে কলকাতার এক সওদাগরী অফিসে চাকরি করতে ঢুকেছিলেন। তখনকার দিনে তিনিই ছিলেন একমাত্র কবিয়াল যিনি কিছু ইংরেজি জানতেন। পরে অবশ্য তিনি সেই চাকরি ছেড়ে দিয়ে নিজেই একটি কবির দল গঠন করেছিলেন, সেটির নাম ছিল ‘রাম বোসের দল’। আজও পুরানো বইপত্র ঘাঁটলে রাম বসুর চরিত্র সম্বন্ধে বেশ কানাঘুষা দেখতে পাওয়া যায়। তাঁর নাকি একজন রক্ষিতা ছিলেন, যাঁর নাম ছিল ‘যজ্ঞেশ্বরী’। সেই যজ্ঞেশ্বরী নিজেও সেই সময়ের একজন খ্যাতনামা মহিলা কবিয়াল ছিলেন। কারো কারো মতে উক্ত যজ্ঞেশ্বরীই নাকি রাম বসুর কবিত্ব শক্তির উৎস ছিলেন। রাম বসু সম্পর্কে ১৩১৩ বঙ্গাব্দে শ্রাবণ সংখ্যার ‘নব্য ভারত’ পত্রিকায় লেখা হয়েছিল, “রাম বসুর চরিত্রটি নিতান্ত ধোয়া তুলসীপাতা ছিল না।” আবার রাম বসু-যজ্ঞেশ্বরী সম্পর্ক নিয়ে ‘অনাথ কৃষ্ণ দেব’ তাঁর ‘বঙ্গের কবিতা’ পুস্তকে লিখেছিলেন, “যজ্ঞেশ্বরীকে রাম বসু অনুগৃহীতারূপে দেখতেন।” অবশ্য তখনকার দিনে ওই ধরণের অবৈধ প্রেমকে মোটেই দোষের বলে দেখা হত না। এই প্রসঙ্গে ১৩১৩ বঙ্গাব্দের ‘নব্য ভারত’ পত্রিকা লিখেছিল, “প্রাচীন মহাশয়েরা মুক্ত কণ্ঠে স্বীকার করিয়া থাকেন যুবকগণ বেশ্যালয়ে না যাইলে ভব্যতা শিখিতে পারে।” এখানে যজ্ঞেশ্বরী সম্বন্ধে কিছু বলবার প্রয়োজন রয়েছে। তিনি তখনকার দিনের একজন অপ্রতিদ্বন্দ্বী মহিলা কবিয়াল ছিলেন, এবং তিনি নিজেও একটি কবির দল গড়েছিলেন। এছাড়া তিনি স্বয়ং আসরে বসে কবিতা রচনাতেও পটীয়সী ছিলেন। পুরুষদের সঙ্গে সমান তালে আসরে দ্বন্দ্বে অবতীর্ণা হয়ে তিনি শ্রোতাদের চমক লাগিয়ে দিতেন। তিনি যে সেই সময়ের একজন জাত কবিয়াল ছিলেন, বাংলার ইতিহাস প্ৰসিদ্ধ কবিয়াল ‘ভোলা ময়রা’র সঙ্গে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতার সংবাদ থেকে সেই প্রমাণ পাওয়া যায়। একবার কলকাতার কোন একটি আসরে উপস্থিত হয়ে যজ্ঞেশ্বরী দেখতে পেয়েছিলেন যে, প্রসিদ্ধ কবিয়াল ভোলা ময়রাও সেখানে উপস্থিত রয়েছেন। ভোলা ময়রার খ্যাতির কথা যজ্ঞেশ্বরী আগে থেকেই জানতেন। তাই নিজেকে পরাজয়ের হাত থেকে বাঁচবার উদ্দেশ্যে তিনি তাঁকে “ভোলানাথ আমার পুত্র এবং আমি ভোলানাথের মাতা” বলে গান বেঁধেছিলেন। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল যে, ভোলানাথ হয়তো সেই গান শুনে তাঁকে সত্যিই মাতা বিবেচনা করে আর তেমন হেনস্থা করবেন না। কিন্তু ভোলানাথ তাঁর মাতার পুত্র আখ্যাকে স্বীকার করে নিয়েও তাঁকে এমনভাবে গালাগালি দিয়ে উত্তর দিয়েছিলেন যে তা থেকে ভোলানাথের কবি-প্রতিভার ইঙ্গিত পাওয়া যায় ৷ তিনি গেয়ে উঠেছিলেন –
“তুমি মাতা যজ্ঞেশ্বরী সর্ব কার্য্যে শুভঙ্করী
তোমার ঐ পুরানো এঁড়ে রাম বোস বাপ।
যেমন পিতা তেমনি মাতা ভোলানাথের অভয়দাতা
মা-বাপ ঠিক বাগিয়ে দিলে খাপ৷৷
এখন মা! শুধাই তোরে কেন এসে এই আসরে
ঘন ঘন দিচ্ছ জোরে ডাক।
বুঝি তোমার হয়েছে কাল বেহায়ার নাই কালাকাল
তাই বাবুদের সভায় এত হাঁক৷৷
তোমার পুত্র ভোলানাথ গুণধর সকল কাজেই অগ্রসর
তোমার মত মাতার দুঃখ দেখিতে না চাই।
পঞ্চপিতা, সপ্তমাতা শাস্ত্রে শুনতে পাই
তুমি আমার গাভীমাতা, চল তোমায় চরাতে যাই৷৷
(হুগলী জেলার ইতিহাস, সুধীর কুমার মিত্র)
উল্লেখ্য যে, রাম বসুর সঙ্গে যজ্ঞেশ্বরীর অবৈধ যোগাযোগের ঘটনাকে ভোলা ময়রা তাঁর গানের মাধ্যমে তুলে ধরতে কোন কসুর করেন নি; এবং বলা বাহুল্য যে, যজ্ঞেশ্বরীকে সেদিন বিনা শর্তে তাঁর সামনে রণে ভঙ্গ দিতে হয়েছিল।
বাংলার প্রাচীন যাত্রা জগতের ইতিহাসের একটি বিখ্যাত নাম হচ্ছে পালাগানকারী ‘গোবিন্দ অধিকারী’। তিনি একদিকে যেমন উঁচু দরের যাত্রাভিনেতা ছিলেন, অন্যদিকে তেমনি একাধিক পালা রচনাতেও সিদ্ধহস্ত ছিলেন। গোবিন্দ অধিকারীর কৃষ্ণযাত্রার সুখ্যাতি সে যুগের বহু আসরে কীর্তিত হয়েছিল। গোবিন্দ অধিকারীর জন্ম হুগলী জেলার খানাকুলে হলেও তাঁর জীবনের বেশী সময়ই শালিখায় কেটেছিল এবং সেখানেই তিনি সগৌরবে মৃত্যু বরণ করেছিলেন। পরম বৈষ্ণব গোবিন্দর জন্ম-মৃত্যু নিয়েও পণ্ডিতদের মধ্যে মতান্তর রয়েছে। ‘বঙ্গভাষার লেখক’ গ্রন্থের লেখক ‘হরিমোহন মুখোপাধ্যায়’ লিখেছিলেন, “তাঁহার ভূমিষ্ঠ হইবার প্রকৃত সন তারিখ জানা নাই।” তবে তিনি যে খৃীষ্টীয় ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, সে বিষয়ে গবেষকদের কোন সন্দেহ নেই। ‘বাঙ্গালীর গান’ গ্রন্থে বলা হয়েছে যে, ১৭৯৮-৯৯ খৃষ্টাব্দে গোবিন্দ অধিকারীর জন্ম হয়েছিল, এবং বাহাত্তর বৎসর বয়সে হাওড়ার সালিখা গ্রামে তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। গান রচনা ও সুললিতকণ্ঠের অধিকারী, বহু পালাগানের রচয়িতা ও দূতীর ভূমিকায় অপ্রতিদ্বন্দ্বী অভিনেতা ও যাত্রাপরিচালক গোবিন্দ অধিকারীকে সাহিত্যসম্রাট ‘বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়’ পর্যন্ত তাঁর ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকায় পরমানন্দের দলের ‘ছোকরা অভিনেতা’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। বাংলার সেই বিখ্যাত যাত্রা অধিনায়ক গোবিন্দ অধিকারী শালিখার বর্তমান কলডাঙ্গা লেনে বাস করতেন।

সেকালের হাওড়ার দাঁড়া কবিদের মধ্যে আরেকটি উল্লেখযোগ্য নাম ছিল ‘রঘুনাথ দাস’। কারো কারো মতে তিনিই নাকি ‘দাঁড়াকবি’র প্রবর্তক ছিলেন। ঈশ্বর গুপ্তের মতে রঘুনাথ ফরাসডাঙ্গায় বাস করতেন। আবার অনেকের মোতে রঘুনাথ এক সময়ে শালিখাতেও বাস করেছিলেন। এই প্রসঙ্গে ডঃ অসিত বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত (৪র্থ খণ্ড) গ্রন্থে লিখেছিলেন, “কিন্তু অনেকে বলেন রঘুনাথ নানা স্থানে বাস করতেন – সালিখা, গুপ্তিপাড়া ও কলকাতায় তাঁর যাতায়াত ছিল।” অপর গবেষক ‘ভবতোষ দত্তের’ মতে – “অষ্টাদশ শতাব্দীর পূর্বাব্দে এঁর জন্ম। রঘুর জন্মস্থান নিয়ে বিভিন্ন কিম্বদন্তী আছে। কেউ বলেন কলিকাতায় কেউ বলেন শালিখায়, কেউ বলেন গুপ্তিপাড়ায়। হারু ঠাকুর এঁর কাছে সঙ্গীত শিক্ষা করেন।”
কবিয়াল রাম বসু সম্পর্কে কবি ঈশ্বরগুপ্ত যে ধরণের প্রশস্তি কীর্তন করেছিলেন, সেটা যে কোন প্রতিভাবান ব্যক্তির পক্ষেই প্রার্থিত বস্তুস্বরূপ। গুপ্ত কবি বলেছিলেন যে, যেমন সংস্কৃত কবিতায় ‘কালিদাস’, বাংলা কবিতায় ‘রামপ্রসাদ’ ও ‘ভারতচন্দ্র’, সেইরূপ কবিয়ালদের কবিতায় ‘রাম বসু’; যেমন ভৃঙ্গের মধ্যে পদ্মমধু, শিশুর পক্ষে মাতৃস্তন, অপুত্রের পক্ষে পুত্র-সন্তান, সাধুর পক্ষে ঈশ্বর-প্রসঙ্গ, দরিদ্রের পক্ষে ধনলাভ – সেইরূপ ভাবুকের পক্ষে ‘রাম বসুর গীত’। শোনা যায় যে, রাম বসু নাকি সীতানাথ বসু লেন ও চৌরাস্তার মাঝামাঝি জি. টি. রোডের পাশের কোন এক জায়গায় বাস করতেন।

(তথ্যসূত্র:
১- বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত, ৪র্থ খণ্ড, ডঃ অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়।
২- প্রাচীন কবি সংগ্রহ, ১ম খণ্ড, গোপালচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত।
৩- ঈশ্বরগুপ্ত রচিত কবি-জীবনী, ডঃ ভবতোষ দত্ত।
৪- বঙ্গভাষার লেখক, হরিমোহন মুখোপাধ্যায়।
৫- প্রাচীন কবি সংগ্রহ, ১ম খণ্ড, গোপালচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত।
৬- হুগলী জেলার ইতিহাস, সুধীর কুমার মিত্র।)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Post

আমৃত্যু প্রতিবাদী থাকতে চাওয়া এক চলচ্চিত্রকার – মৃণাল সেনআমৃত্যু প্রতিবাদী থাকতে চাওয়া এক চলচ্চিত্রকার – মৃণাল সেন

আমরা কোনোদিনও চমকে উঠিনি, মৃণাল সেন এতদিন আমাদের মধ্যে বেঁচে ছিলেন। আমরা খুব স্বাভাবিকভাবে এই সত্যিকে নিয়েছিলাম। বস্তুত এতই স্বাভাবিকভাবে, যে তথ্যটি ভুলেই গেছিলাম প্রায়। মৃণাল সেন প্রয়াত হওয়ার পর

‘রামকৃষ্ণ ও বঙ্কিম – একটি বিতর্কিত অধ্যায়’ (প্রথম পর্ব)‘রামকৃষ্ণ ও বঙ্কিম – একটি বিতর্কিত অধ্যায়’ (প্রথম পর্ব)

রানা চক্রবর্তীঃ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সম্বন্ধে একটা কাহিনী বহুকাল ধরেই নির্বাধায় প্রচলিত থাকতে থাকতে বর্তমানে সেটা প্রায় একটা প্রবাদে পরিণত হয়ে গিয়েছে। সেই কাহিনীটি সংক্ষেপে হল – রামকৃষ্ণ পরমহংসের সঙ্গে বঙ্কিমচন্দ্রের

কুকুরদের সুসাইডের কারণেই নাম হয়েছিল ডগস সুইসাইড ব্রিজ! কি কারণে সুইসাইড করত কুকুররা?কুকুরদের সুসাইডের কারণেই নাম হয়েছিল ডগস সুইসাইড ব্রিজ! কি কারণে সুইসাইড করত কুকুররা?

সাধারণত কোন মানুষের জীবনের প্রতি অনিহা সৃষ্টি হলে বা দীর্ঘদিন ধরে কোন সমস্যায় জড় জড়িত থাকলে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। জীবনের সমস্ত মোহ মায়া ত্যাগ করে আত্মহত্যা করেন। বেশিরভাগ

ঈশ্বরের সন্ধানে বিজ্ঞানঈশ্বরের সন্ধানে বিজ্ঞান

ঈশ্বর বলতে আমরা ঠিক কি বুঝি ? এমন কোন মহাশক্তি যাকে দেখা যায় না, স্পর্শ করা যায় না, এমনকি মাপাও যায় না কিন্তু আমাদের মানব জীবন সহ সমগ্র জীব জগতে