কংগ্রেসে ছেড়ে সিপিএমের সদস্য পদ নিন, কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার - Ei Bangla
Ei Bangla Bangla News (বাংলা খবর) কংগ্রেসে ছেড়ে সিপিএমের সদস্য পদ নিন, কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার

কংগ্রেসে ছেড়ে সিপিএমের সদস্য পদ নিন, কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার


আগরতলাঃ ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে আসন সমঝোতা করে জোট বেঁধে লড়াই করবে কংগ্রেস এবং সিপিএম। এটা একেবারে নিশ্চিত করে দিয়েছেন CPIM এবং Congress নেতারা। আর এই নিয়েই এবার কংগ্রেসকে বিঁধলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা (Manik Saha)। কংগ্রেসের নেতাদের CPIM-র সদস্যপদ নেওয়ার পরামর্শ দিলেন তিনি। এক সময়ে Manik Saha ছিলেন কংগ্রেসে। পরে তিনি যোগ দেন BJP-তে। BJP-র রাজ্য সভাপতিও হন তিনি। গত বছর তাঁকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী করা হয়।

আরো পড়ুন- ট্যাংকারের ধাক্কায় সাইকেল আরোহীর মৃত্যু, রণক্ষেত্র পুরুলিয়া

এদিকে সেই রাজ্য থেকে শাসক BJP-কে সরাতে সবাইকে জোট বাঁধার ডাক দেয় কংগ্রেস এবং CPIM। তাঁদের দাবি, এই নির্বাচনেই ত্রিপুরা BJP-র অপশাসন থেকে মুক্ত হবে। অন্যদিকে, বাম এবং কংগ্রেসকে বিঁধেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। মানিক সাহা বলেন, “আমি আমার রাজনৈতিক জীবনে এই রকম অদ্ভূত জিনিস ত্রিপুরায় দেখিনি। আগে, পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেছিল CPIM এবং বামেরা। এটা সেখানের অনেক কংগ্রেস নেতাই মেনে নিতে পারেননি। বাংলায় তাঁদের অনেকেই চলে গিয়েছিলেন তৃণমূলে। কারণ তারা CPIM-এর সঙ্গে কোন সমঝোতা করতে চাননি। বাংলার নির্বাচনে একেবারে শূন্য পেয়েছে বাম-কংগ্রেস জোট। আর এখানে তারা একই জিনিস করতে চাইছেন। এখানে কংগ্রেস তো CPIM-র সঙ্গে ঘর করতে শুরু করে দিয়েছে।”

সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, “কংগ্রেস আগেও একাধিকবার তাঁদের রাজনৈতিক পরিচয় বদলেছে। এখানে তারা CPIM-র সঙ্গে জোট গড়ে মানুষকে বোকা বানাতে চাইছে। তারা এক কাজ করুন, একটা অশুভ আঁতাত বা জোট করার পরিবর্তে পুরোপুরি মিশে যান CPIM-র সঙ্গে। কংগ্রেসের নেতাদের উচিত CPIM-র সদস্যপদ গ্রহণ করে নেওয়া।” তিনি বলেন, সেই জোটে TIPRA যাবে কী না তা নিয়ে আমার কোন ধারনা নেই। তবে তারা যাই করুন না কেন, এতে BJP-র ভয় পাওয়ার কিছু নেই।”

মানিক সাহার দাবি, এবারের নির্বাচনে CPIM এবং Congress দুই দলই হারবে। কারণ, তাঁদের এই অশুভ আঁতাত সেই রাজ্যের মানুষ মেনে নেবেন না। তাঁর দাবি, “কংগ্রেসের অনেক কর্মীই এই জোটে হতাশ। নিচুতলার কংগ্রেস কর্মীরা CPIM ক্যাডারদের হাতে অত্যচারিত হয়েছিলেন। এখন সেই বামেদের হাত ধরেই হাঁটতে চাইছে কংগ্রেস। সেটা মেনে নিতে পারছেন ওই কর্মীরা। ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যসভার সাংসদ বিপ্লব দেবের মতে, এটাই CPIM-র শেষ যাত্রা। কংগ্রেস ত্রিপুরার একেবারে ‘পোস্টার’ হয়ে যাবে বলেও দাবি তাঁর।

সেখানের শাসকদলের নেতাদের দাবি, কংগ্রেস এবং সিপিএমের -র এই জোট প্রমাণ করেছে যে তারা BJP-কে ভয় পাচ্ছে। সেখানের কংগ্রেস এবং CPIM-র কোন আদর্শ নেই বলেও দাবি করেছেন তারা। অন্যদিকে ত্রিপুরার তৃণমূলের দাবি, কংগ্রেস এবং বামেদের এই জোটকে ভালোভাবে নেবেন না সেখানের সাধারণ বাসিন্দারা। এর সুফল পাবে তৃণমূল কংগ্রেস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Post

বকেয়া DA দিলে বন্ধ হবে লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী! মন্ত্রীর মন্তব্যে বিতর্কবকেয়া DA দিলে বন্ধ হবে লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী! মন্ত্রীর মন্তব্যে বিতর্ক

বকেয়া DA দিলে বন্ধ হবে লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী স্বাস্থ্য সাথীর মতো সামাজিক প্রকল্প। সরকারি কর্মীদের ডিএ নিয়ে মন্তব্য করতে এমনটাই আশঙ্কা করলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, ‘কোনটা

নবজোয়ার কর্মসূচি চলবে তবে আজ কল্যাণীতে হবে শেষ অধিবেশননবজোয়ার কর্মসূচি চলবে তবে আজ কল্যাণীতে হবে শেষ অধিবেশন

আদর্শ আচরণ বিধি লাগু হলেও যেহেতু নবজোয়ার রাজনৈতিক কর্মসূচি তাই চলবে। আজ কল্যাণীতেই শেষ অধিবেশন। জনসংযোগ যাত্রা কাকদ্বীপে শেষ হবে। উপস্থিত থাকবেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (CM Mamata Banerjee)। উত্তর ও

স্ত্রীকে, ৩ বছরের ছেলেকে ধরে জেলে ঢোকালেও মাথা নত করব না,’ অভিষেকস্ত্রীকে, ৩ বছরের ছেলেকে ধরে জেলে ঢোকালেও মাথা নত করব না,’ অভিষেক

ক্ষমতা থাকলে আমাকে গ্রেফতার করুন।’ সকালে স্ত্রী রুজিরাকে ইডির তলব করার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চ্যালেঞ্জ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, নবজোয়ার যাত্রা আটকানোর জন্যই এ সব করা হচ্ছে। একই

পঞ্চায়েত ভোটে নেতার পরিবারের সদস্যরা কি টিকিট পাবেন? জোর চর্চা তৃণমূলেপঞ্চায়েত ভোটে নেতার পরিবারের সদস্যরা কি টিকিট পাবেন? জোর চর্চা তৃণমূলে

আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে নেতার পরিবারের সদস্যরা কি টিকিট পাবেন? তা নিয়ে জোর চর্চা তৃণমূলে। নেতার ব্যাগ, জলের বোতল ইত্যাদি বয়ে যে পঞ্চায়েত ভোটের টিকিট পাওয়া যাবে না, তা আগেই স্পষ্ট