আরবসাগরের ক্রমেই শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। তবে এটি শক্তি বাড়িয়ে ক্রমেই ভারতীয় উপকূল থেকে দূরে যেতে থাকবে। অপরদিকে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় দূরে যেতেই শক্তি বাড়াতে শুরু করেছে বঙ্গোপসাগরের সিস্টেমটি। তবে এই সিস্টেমটি আদৌ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কি না, তা নিয়ে কোনও আপডেট দেয়নি হাওয়া অফিস।
চারদিন আগে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং মায়ানমারের আরাকান অঞ্চলের উপকূলের কাছে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছিল। বিগত তিন-চাদিন ধরে সেটি সেখানেই অবস্থান করছিল। আজ সেটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। জানা গিয়েছে, আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের কারণে শক্তি বৃদ্ধি করতে পারছিল না এই সিস্টেমটি। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এই নিম্নচাপের শক্তি বাড়বে বলে জানা গিয়েছে।
আরো পড়ুন- ভাইপোর দেওয়া তথ্যেই গ্রেপ্তার একের পর এক তৃণমূল নেতা, নাম না করে অভিষেককে নিয়ে বিস্ফোরক অধীর
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ মায়ানমার উপকূল লাগোয়া পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর, পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর, দক্ষিণ তামিলনাড়ু ও পশ্চিম শ্রীলঙ্কা লাগোয়া দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরে প্রায় ৫৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে দমকা হাওয়া বইবে। আগামী কয়েকদিন বঙ্গোপসাগরের এই সিস্টেমের জেরে ঝোড়ো হাওয়া জারি থাকবে।
এদিকে এই ঘূর্ণাবর্তের জেরে বর্ষার আগমনের আগেই ভিজছে উত্তরপূর্ব ভারত। এই নিম্নচাপের জেরে উত্তরপূর্ব ভারতে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাত লক্ষ্য করা গিয়েছে। মৌসম ভবনের সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, ১০ জুন অসম এবং অরুণাচল প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এর আগে অসম, মণিপুর, মিজোরামে ভারী বৃষ্টি দেখা গিয়েছে এর জেরে। এদিকে উপকূলীয় পশ্চিমবঙ্গের আকাশ মেঘলা থাকবে। হালকা বৃষ্টি হতে পারে।
অপরদিকে আরব সাগরের ঘূর্ণিঝড় এবং মায়ানমার উপকূলের ঘূর্ণাবর্তের জেরে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আগমনের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হবে না বলে মনে করা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গে আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে বর্ষার আগমন ঘটবে। তবে দক্ষিণবঙ্গে মৌসুমী বায়ু কবে ঢুকবে, তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত ভাবে কিছু বলতে পারছে না হাওয়া অফিস। ফলে শনিবার পর্যন্ত তাপপ্রবার জারি থাকবে দক্ষিণের একাধিক জেলায়।