বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে শক্তিশালী ইঞ্জিন - Ei Bangla
Ei Bangla ব্লগ বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে শক্তিশালী ইঞ্জিন

বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে শক্তিশালী ইঞ্জিন


এটাই সেই ইঞ্জিন; ১ লাখ ৯ হাজার হর্সপাওয়ার শক্তি-সম্পূর্ণ Wartsila sulzer RTA96-C বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে শক্তিশালী ইঞ্জিন!

● নির্মাতা কোম্পানি: Built in Finland

● এটার ওজন ২,৩০০টন এবং ৪৪-ফুট লম্বা এবং ৮০-ফুট দীর্ঘ- সব মিলিয়ে এটা দেখতে অনেকটা একটি চারতলা বিল্ডিং এর মতো। তবে ট্রান্সপোর্টের সুবিধার্তে এটাকে খন্ড খন্ড করা যায়।

● এটা ১১,০০০ ২০ ফুটের কনটেইনার বাহি একটি জহাজকে ২০ নট দ্রুত গতিতে তাড়িত করে।

● এটার ১৪ বিল্ট-ইন সিলিন্ডারের প্রত্যেকটি একটি চক্রের ৬.৫ আউন্স ডিজেল গ্রহন করে যা ৫৭০০ কিলোওয়াট শক্তি উত্পাদন করে।

● অন্যদিক দিয়ে হিসাব করলে, এটা 107,389HP জেনারেট করতে পারে- যা একটি ছোটখাটো শহরের বিদ্যুৎ সাপ্লাই দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।

● চালিত অবস্থা এটাকে প্রতিদিন ৪৫ হাজার লিটার ভারী জ্বালানি (১ -গ্রেট মানের ডিজেল) জোগান দিতে হয়!

● পৃথিবীর মহাসাগরগুলিতে বর্তমানে এরকম ২৫ টি ইঞ্জিন নিয়ে ২৫ টি জহাজ ঘোরাঘুরি করছে মোট ৮৬ টি পথে দিয়ে। এগুলো চীন to মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য বহন করে, যা অন্য যেকোন জাহাজের থেকে প্রচুর অর্থ এবং সময় সাশ্রয় করে।

● ইঞ্জিনটি অত্যন্ত দক্ষ এবং এর সর্বনিম্ন দূষণকারীদের একটি।

সব মিলিয়ে, এটি মানব প্রকৌশলের সবচেয়ে আশ্চর্যজনক একসৃষ্টি!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Post

হেস্টিংস সাহেবের হানাবাড়িহেস্টিংস সাহেবের হানাবাড়ি

রানা চক্রবর্তীঃ কলকাতার আলিপুরের ‘বেলভেডিয়ারের বাড়ির’ সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেক রোমাঞ্চকর ঘটনা। এটি ছিল ‘লাটসাহেবেব পুরনো বাড়ি’, বর্তমানে এখানেই গড়ে উঠেছে আমাদের ‘ন্যাশনাল লাইব্রেরি’। এই বাড়িতেই একসময় বসবাস করতেন ‘বহু

হোসেনশাহী বংশের উত্থানহোসেনশাহী বংশের উত্থান

রানা চক্রবর্তীঃ গৌড়-বঙ্গে হাবসী যুগের শেষ সুলতান ‘সামসুদ্দীন মুজাফরের’ আততায়ী হোসেন শাহ আরব ভাগ্যান্বেষী ‘সৈয়দ আসরাফের’ পুত্র ছিলেন। অনেক আশা আকাঙ্খা নিয়ে আসরফ বঙ্গদেশে এসেছিলেন, কিন্তু কোথাও কিছু সুবিধা না

সুস্বাদু কেক বানিয়ে দু’শতক পর ‘আজমিরি বেকারির’সুস্বাদু কেক বানিয়ে দু’শতক পর ‘আজমিরি বেকারির’

‘বারো মাসের তেরো পার্বণ’ বাঙালির বহু প্রাচীন প্রবাদ, তবে বর্তমানে তা আর মাত্র ‘তেরো তে’ সীমাবদ্ধ নেই। সময়ের সাথে বদলেছে জীবনযাপনের ধরণ। নিজেদের প্রাচীন রীতি-নীতি পালনের পাশাপাশি বিদেশী সংস্কৃতির ছোঁয়াও

‘চৈতন্য সাহিত্যে খর্বিত চৈতন্য চরিত্র’‘চৈতন্য সাহিত্যে খর্বিত চৈতন্য চরিত্র’

রানা চক্রবর্তীঃ বিভিন্ন চৈতন্য জীবনীকারেরা নিজেদের লেখায় এমন অনেক কথা বলেছিলেন, যা চৈতন্য-জীবনের মূল আদর্শ থেকে সম্পূর্ণ পৃথক ছিল বলে দেখতে পাওয়া যায়। যে বিশ্বম্ভর ‘শৈব-গায়েনের’ পিঠে চড়ে আনন্দে নৃত্য