পঞ্চায়েত ভোটে নেতার পরিবারের সদস্যরা কি টিকিট পাবেন? জোর চর্চা তৃণমূলে - Ei Bangla
Ei Bangla Bangla News (বাংলা খবর),রাজনীতি পঞ্চায়েত ভোটে নেতার পরিবারের সদস্যরা কি টিকিট পাবেন? জোর চর্চা তৃণমূলে

পঞ্চায়েত ভোটে নেতার পরিবারের সদস্যরা কি টিকিট পাবেন? জোর চর্চা তৃণমূলে


আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে নেতার পরিবারের সদস্যরা কি টিকিট পাবেন? তা নিয়ে জোর চর্চা তৃণমূলে। নেতার ব্যাগ, জলের বোতল ইত্যাদি বয়ে যে পঞ্চায়েত ভোটের টিকিট পাওয়া যাবে না, তা আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২১ জুলাই ধর্মতলায় শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক টিকিট পাওয়ার মাপকাঠি ঠিক করে দেন। তাঁর বার্তা ছিল, মুখ দেখিয়ে কিংবা এর-ওর ‘কাছের লোক’ হয়ে পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট পাব ভাবলে ভুল হবে। মানুষ যাঁকে পছন্দ করেন, শুধুমাত্র তেমন ব্যক্তিকেই টিকিট দেওয়া হবে।

আরো পড়ুন- হেস্টিংস সাহেবের হানাবাড়ি

সেই সূত্রেই আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী কারা? তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে জোড়াফুল শিবিরে। গ্রাম বাংলার ভোটে ‘গ্রহণযোগ্য মুখ’ খোঁজার কাজে নেমে পড়েছেন রাজ্যের শাসক দলের নেতৃত্ব। জেলা থেকে কোনও নাম পাঠানো হলে, তা মান্যতা পেয়ে যাবে, এবার তেমন হচ্ছে না বলেই খবর তৃণমূল সূত্রের। রাজ্য নেতৃত্ব সবদিক বিচার-বিশ্লেষণ করেই প্রার্থী নির্বাচন করতে চলেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক নিজস্ব নেটওয়ার্ক মারফত খবর নিচ্ছেন। সেইসঙ্গে একটি পেশাদার সংস্থারও রিপোর্ট নিচ্ছে দল। তারপর চূড়ান্ত হবে প্রার্থীদের নাম। প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ‘স্বচ্ছ ভাবমূর্তি’র দিকেই নজর রাজ্যের শাসক দলের। আর এখানেই প্রশ্ন, তৃণমূল নেতাদের পরিবারের সদস্যরা কি পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট পাবেন?
বীরভূম জেলার তৃণমূলের চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, সাধারণত যাঁরা দলের বিভিন্ন পদে রয়েছেন এবং সাংসদ, বিধায়ক কিংবা জেলা পরিষদে আছেন, তাঁদের নিকট আত্মীয়দের ভোটে না দাঁড়ানোই উচিত। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, কোনও নেতার সন্তান রাজনীতির পরিসরেই মানুষের সেবায় আগ্রহী, তখন তা অগ্রাহ্য করা কঠিন।

তমলুক সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র মনে করেন, নেতার ঘরের স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে বা আত্মীয় বলেই একজন প্রার্থী হবেন, সেটা ঠিক নয়। যদি কেউ সত্যিকার কাজের লোক বা যোগ্য হন, তাঁর অগ্রাধিকার প্রাপ্য। তাই হাতেগোনা কয়েক জায়গায় ব্যতিক্রম হতে পারে। উত্তর দিনাজপুর জেলার তৃণমূল সভাপতি কানহাইয়ালাল আগরওয়ালের দাবি, পরিবারতন্ত্র বলে কিছু নেই। নেতা বা জনপ্রতিনিধির সন্তান যদি যোগ্য হন, তবে অবশ্যই ভোটে টিকিট পেতে পারেন। এর আগে কলকাতা পুরভোটে দেখা গিয়েছিল, তৃণমূলের ছ’জন বিধায়ক এবং একজন সাংসদ টিকিট পেয়েছেন। আসানসোলের মেয়র হন আরও এক বিধায়ক। কলকাতার পুরভোটে সাংসদ শান্তনু সেনের স্ত্রী কাকলি, মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের ছেলে সৌরভ, মন্ত্রী শশী পাঁজার মেয়ে পূজা, মন্ত্রী জাভেদ খানের ছেলে ফৈয়াজ, বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহার ছেলে সন্দীপন প্রার্থী হন। পুর পারিষদ তারক সিংয়ের ছেলে এবং মেয়েও টিকিট পেয়েছিলেন। তৃণমূলেরই প্রার্থী হয়েছিলেন প্রাক্তন বাম নেতা ক্ষিতি গোস্বামীর কন্যা বসুন্ধরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Post

আজ কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের ৬ জেলায় বজ্রবিদ্যুুত্‍-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনাআজ কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের ৬ জেলায় বজ্রবিদ্যুুত্‍-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা

এইবাংলা ডেক্সঃ প্রখর দহনে স্বস্তির খবর দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আজ কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের ৬ জেলায় বজ্রবিদ্যুুত্‍-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। আজ কলকাতার সর্বোচ্চ

অসন্তুষ্ট পশ্চিমবঙ্গের মতুয়া সম্প্রদায়, কপালে চিন্তার ভাঁজ বিজেপিরঅসন্তুষ্ট পশ্চিমবঙ্গের মতুয়া সম্প্রদায়, কপালে চিন্তার ভাঁজ বিজেপির

অসন্তুষ্ট পশ্চিমবঙ্গের মতুয়া সম্প্রদায়। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) কার্যকর করে মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়টি পাকা না করলে মতুয়া ভোটব্যাংক যে থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেবে, তা ভালই বুঝতে পারছে বিজেপি। ফলে

চলতি বছর থেকে একগুচ্ছ ফোনে বন্ধ হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ পরিষেবা, তালিকায় আপিল, স্যামসাং, এলজির মোবাইলওচলতি বছর থেকে একগুচ্ছ ফোনে বন্ধ হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ পরিষেবা, তালিকায় আপিল, স্যামসাং, এলজির মোবাইলও

সফ্‌টঅয়্যার এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকে না। প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় বিভিন্ন অ্যাপও। বদলে যাওয়া প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে প্রতি বছরই বেশ কিছু ফোনে পরিষেবা বন্ধ করে দিতে

Accident: উত্তরপ্রদেশের ভয়াবহ দুর্ঘটনা, মৃত ৭Accident: উত্তরপ্রদেশের ভয়াবহ দুর্ঘটনা, মৃত ৭

নিউজ ডেক্সঃ শুক্রবার রাতে অযোধ্যা থেকে আসা একটি বেসরকারি যাত্রীবাহী বাস লখনউ-গোরক্ষপুর হাইওয়েতে আম্বেদকরনগরের দিকে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা ঘটে। বাসটি হঠাত্‍ বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সাথে ধাক্কা খায়।